সুন্দরবনের শ্যালা নদীসহ আশপাশের নদী-খালের তীরের ছোট গাছে লেগে থাকা ভাসমান ফার্নেস তেলের কারণে বনের পরিবেশ দূষণ ও জীব-বৈচিত্র হুমকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর এ দূষণ থেকে বনের পরিবেশ রক্ষায় স্যানিটেশন পদ্ধতির মাধ্যমে তীরের ক্ষতিগ্রস্ত ছোট বৃক্ষ পরিস্কাররে উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ এলাকাবাসীর সহায়তায় নদী ও খালের ভাসমান তেল অপসরণে করছে তবে নদীর তীরে ছোট গাছের সঙ্গে এ ফার্নেস অয়েল লেগে রয়েছে।
তেলে মুড়ে থাকা বনের ছোট ছোট বৃক্ষে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ করবে অন্যদিকে বনের মাটি ও বন্য প্রাণীও রয়েছে হুমকিতে বলে জানান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সুন্দরবন স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. সরদার শফিকুল ইসলাম।
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকতা জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, নদী-খালের তীরে ছোট ছোট বৃক্ষের গায়ে লেগে থাকা তেল বনের ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, রাজানীতে শনিবার সুন্দরবনে ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে হাওর অঞ্চলবাসী এবং বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি নামের দুটি সংগঠন।
সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আলাদা আলাদা মানববন্ধনে সুন্দরবনের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠন দুটি এ দাবি জানিয়েছে। সংগঠন দুটি সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস তেল দ্রুত নিষ্কাশন, সুন্দরবনের মধ্যকার সকল বাণিজ্যিক নৌ-রুট স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানান
সুন্দর বনের জীববৈচিত্র রক্ষায় রামপালের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পও অনত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।
গত ৯ ডিসেম্বর ভোরে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে ট্যাংকার ডুবির ঘটনা ঘটে। সুন্দরবনের প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ে। আর এ ছড়িয়ে পড়া তেলের মধ্যে থেকে ৬৪ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল এলাকাবসীর সহায়তায় সংগ্রহ করা হয়েছে।