প্লট চেয়ে অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের একটি আবেদনপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবার ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদনপত্রে পূর্বাচলে একটি প্লট চেয়েছিলেন জয়।
ওই সময় জয়ের এ আবেদনপত্র আলোচিত হয়েছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশ হয়েছিল।
সম্প্রতি বনানীর ভয়াবহ আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন জানপ্রাণ দিয়ে লড়ছিলেন, তখন রাস্তায় হাজার হাজার উত্সুক মানুষের ভিড়। বেশির ভাগই অগ্নিকাণ্ড দেখার জন্যই জড়ো হয়েছিল। আবার কেউ কেউ সেলফি তোলায়ও ব্যস্ত ছিল।
অনেকেই আবার পুরো অগ্নিকাণ্ড ভিডিও করে।
বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড়ে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হলেও সেদিকে কারোই খেয়াল ছিল না। জনগণকে সামলাতেই হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। কিন্তু এ অবস্থায়ও ছোট্ট শিশু নাঈম ইসলাম স্থাপন করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এখন সে সবার কাছে খুদে ‘হিরো’। তার এমন কাজে খুশি হয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশি তাকে পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা দেন।
এ ঘটনায় আলোচনায় আসার পর টিভি উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় একান্ত সাক্ষাৎকার নেন। নাঈমের সঙ্গে তখন তার বাবা-মাও ছিলেন।
নাঈম পুরস্কারের সেই টাকাগুলো নেবে কিনা? আর নিলেও সেই টাকা কিসে খরচ করবে? এমন প্রশ্ন করেন উপস্থাপক জয়।
জবাবে নাঈম জানায়, সেই টাকাগুলো সে এতিমখানার অনাথ শিশুদের জন্য দান করে দিতে চায়। ছেলের এ জবাবে সায় দেন তার মা-বাবাও।
এতিমখানায় কেন টাকা দিতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে নাইম বলন, কিছু বছর আগে খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুট করে খেয়েছে তাই এই টাকা তিনি এতিমদের দিতে চান।
তবে শিশু নাঈমকে জয়ের এ ধরনের প্রশ্ন করাটাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছেন ফেসবুক ব্যবহাকারীরা।
তারা বলছেন, ওই শিশুটি নিজ থেকে এসব কথা বলেনি। উপস্থাপক জয় শিশু নাঈমকে কথাগুলো শিখিয়ে দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে শিশুটির কথা বলার ধরনেই তা স্পষ্ট।
শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সেই আবেদনপত্রে কী আছে?
আবেদনে জয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী’ ও ‘আদর্শ মা’ উল্লেখ করে লিখেছেন- ‘আপনার সুযোগ্য পুত্রের নামের আরেক পুত্র শাহরিয়ার নাজিম জয়ের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি রইল সালাম। আমি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় নায়ক (টিভি, চলচ্চিত্র)।
আপনার দোয়ায় গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের বিনোদনের অন্যতম উৎস হয়ে আছি টিভি ও সুস্থ চলচ্চিত্রে। আপনি অত্যন্ত দরদী ও বাংলার মানুষের বিপদের বন্ধু। শুধু তাই নয়।
মা, আপনার কাছে একজন শিল্পীর আবেদন আমার সমসাময়িক শিল্পীরা পূর্বাচলে ১০ কাঠা/৫ কাঠার প্লট পেয়েছেন। কিন্তু আমি শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে থাকায় আবেদন করতে পারিনি। পরবর্তীতে ঝিলমিল প্রকল্পে আবেদন করলেও লটারিতে তা পাইনি।
মা, পূর্বাচলে একটা জমি আমার স্বপ্ন ও সন্তানের ভবিষ্যৎ। আমি আপনার কাছে আবদার করলাম। আপনি আপনার এই সন্তানের আবদার ফেলে দিবেন না আমি জানি (ইনশাআল্লাহ)। ’