রিবেল মনোয়ার: দেশে অনেক উন্নয়ণ হচ্ছে সন্দেহ নেই। কিন্ত মানবিকতার অবনতি হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ২২ তলা ভবনের মই নেই। কিন্ত প্রতিবছর সরকারি বেতন বৃদ্ধি, ঘুষ বৃদ্ধি, ব্যাংক লুট কোনটি বন্ধ হয়নি।
৭ বছর আগে এফআর টাওয়ারে আমার অফিস ছিলো ( বেস্টওয়ে)। আমি পারভেজ স্যার ( ডিরেক্টর, ইউএস বাংলা), হাবিব স্যার (সিওও, প্রাইম অ্যাসেট), নিকু ম্যাডাম ( এসসিওও, এইচআর , ডানকান), শহিদুল ভাই ( নাভানা), মাহবুব সহ অনেকেই এক ফ্লোরে বসতাম।
এই ধরনের অগ্নিকান্ডে আমরাও পড়তে পারতাম। আসলে আমরা নিজেরা কোন বিপদে না পড়লে অন্যের বিপদটা অনুভব করিনা। আমরা কিভাবে যেন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি।
নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক তমাল। বনানীর অগ্নিকান্ডে নিহত হয়েছেন তিনি।
পড়াশোনা শেষ করেই ইউর সার্ভিস কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। আমরাও তমালের মতো পরিণতি বরণ করতে পারতাম। আমরা আজকে চুপ থেকে সুশিল হতে পারবো কিন্ত যেদিন আমরা আগুনের শিকার হবো সেদিন ?
সরকারি এত প্রতিষ্টান এসির বাতাস খেয়ে ঘুমায়? সারাবছর ভবনগুলোর আগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, কমপ্লায়েন্স ঠিক আছে কিনা কেন চেক করেনা? রাজউক কিভাবে এসব ভবনের অনুমতি দেয়। আসলে রাজউক কি জনগণের কাজ করে নাকি সরকারি রিয়েল এস্টেস্ট বিজনেস কোম্পানী?
যদি সবসময় চুপ থাকি আপনার আমার বিবেক মরে যাবে। নিঃশঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় কোন সম্পদ নেই।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা কেমিক্যালের গোডাউনের অগ্নিকাণ্ড ৭১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মাত্র ৩৮ দিনের মাথায় বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় আকাশছোঁয়া ভবনে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এতে করে নতুন ও পুরাতন ঢাকার কোনো এলাকাই নিরাপদ নয় বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। মনে প্রশ্ন জেগেছে- চকবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারের পর কোন ভবনে আগুন লাগবে?
২৯মার্চ ২০১৯