চট্টগ্রাম: লোহাগাড়া উপজেলার চুনতির জাঙ্গালিয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বাসের ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে চকরিয়া ও কক্সবাজারের কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলা নয়াপাড়া এলাকার মো. জিসানের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (২০), তাঁর মেয়ে সাদিয়া (২), তসলিমা আক্তারের মা হাসিনা মমতাজ (৪৫), চকরিয়ার উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার ভান্ডু মিয়ার ছেলে মো. নুরুল হুদা (২৫), চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার সিকদারপাড়া এলাকার মো. সিরাজুল ইসলামের ছেলে আফজাল হোসেন সোহেল (৩০) ও বাঁশখালীর শেখেরখীল এলাকার মো. সিদ্দিকের ছেলে মো. সায়েম (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতির জাঙ্গালিয়া নামক এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি এসি বাসের সঙ্গে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হন। সংঘর্ষে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
চকরিয়ার চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জানান, বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় মিলেছে। তাঁদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের কাজ চলছে।
আমান উল্লাহ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকও নিহত হয়েছেন। বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে গেছেন। বাস ও মাইক্রোবাসটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।