ঝালকাঠির রাজাপুরে কলেজ ছাত্র সোহেল রানা ও মাদ্রাসা ছাত্র শুক্কুর হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি মেহেদি হাসান শুভর (২৫) ডান হাত, বাম পা কেটে নিয়ে ও মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামের কলাকোপা এলাকার সৈয়দ আলী মেম্বরের বাড়ি সংলগ্ন মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শুভ উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মাহবুরের ছেলে এবং বড়ইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএম শাখার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
শুভ বড়ইয়া ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা এবং উপজেলা নির্বাচনে নৌকার সমর্থক ছিল। এ ঘটনায় বড়ইয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সৈয়দ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
নিহত শুভর বাবা আব্দুল্লাহ আল মাহবুর ও তার মা নাসিমা বেগম অভিযোগ করেন, পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামের কলাকোপা এলাকার ইসরাফিল হাওলাদারের ছেলে নেয়ামত উল্লাহসহ কয়েক যুবক রাতে পিকনিকের কথা বলে শুভকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুভর মা মোবাইলে কল দিলে সে তার বন্ধুদের সঙ্গে আছে বলে জানায়। সকালে পশ্চিম বড়ইয়ার কলাকোপা বিলেরবাড়ি এলাকার সৈয়দ আলী মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মোহন চৌকিদার বাড়ির সামনের মাঠে গোঙানির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশী রেনু বেগম শুভকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে দেখে শুভর বাবা মাহবুবকে খবর দেন। পরে হাত-পা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে মারা যায়।
রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবুল খায়ের রাসেল জানান, ডান হাত ও বাম পা কেটে নেয়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন ও এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শুভ বড়ইয়ার কলেজের ছাত্র সোহেল রানা ও রাজাপুর ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র শুক্কুর হাওলাদার হত্যা মামলার আসামি এবং ঢাকার একটি অস্ত্র আইনের মামলাতেও রয়েছে তার নাম।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুভর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে বলেও জানায় পুলিশ।