নাটোরের বড়াইগ্রামে যৌতুক না পেয়ে আয়েশা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে তার স্বামী। বর্তমানে তিনি বড়াইগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধূ আয়েশা বড়াইগ্রাম পৌরসভার জলন্দা গ্রামের তৈয়ব আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে জলন্দা গ্রামের বাদল মন্ডলের ছেলে তৈয়ব আলীর সঙ্গে আগ্রাণ গ্রামের মৃত আফসার আলী মোল্লার মেয়ে আয়েশা আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় মেয়ের অভিভাবকেরা নগদ এক লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে দেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আয়েশার স্বামী পুনরায় যৌতুকের জন্য মানসিক-নির্যাতন ও মারপিট শুরু করে। এতে বাধ্য হয়ে আয়েশা বাবার বাড়ি থেকে দুই দফায় স্বামীকে আরো প্রায় দুই লাখ টাকা এনে দেন।
গত এক মাস যাবত তৈয়ব আলী তার স্ত্রীকে আরো এক লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু আয়েশা তাতে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার তৈয়ব আলী তাকে বেধড়ক পিটিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে খবর পেয়ে স্বজনেরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।