শেখ মামুন,রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর ৪টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইটিতে স্বতন্ত্র ২টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস (আনারস প্রতীকে) ২৬ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস.এম. নওয়াব আলী (দোয়াত কলম প্রতীকে) পেয়েছেন ১৯হাজার ৮৪০ ভোট। আর অপর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ১৮ হাজার ০৩ ভোট।
বালিয়াকান্দি উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ (নৌকা প্রতীকে) ৪৩ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৪০ হাজার ৫৮০ ভোট।
পাংশা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরিদ হাসান ওদুদ (আনারস প্রতীকে) ৪৪ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভপতি শফিকুল মোর্শেদ আরজ (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯০৩ ভোট।
রোববার (২৪ মার্চ) ভোট গ্রহণ শেষে রাত ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আশেক হাসান এবং গোয়ালন্দ ও পাংশা উপজেলার রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল ঘোষণার সময় রিটার্নিং অফিসাররা জানান, রাজবাড়ীর চার উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেনি।
রাজবাড়ীর ৪ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছয় লাখ ৯১হাজার ৫৮৬জন।এ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম।দুপুরের পরে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রে ছিলোনা লম্বা লাইন, যারাই ভোট দিতে এসেছে সিলিপ নিয়ে সংগে সংগে ভোট দিয়ে তারা ফিরে গেছে, তবে নির্বাচন পরিচালনায় জেলা প্রশাসনের কর্তব্যরত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সহ সকল বাহিনীর ততপরতা ছিলো চোখে পরার মতো। এখানে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি।
৪ উপজেলার মধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম নুরুল ইসলাম আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন। ফলে ওই উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হয়।
তাই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ৪ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।রাজবাড়ীতে ২৫% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।