হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
রোববার সরকারীভাবে কোন অফিস বন্ধ ছিল না অথচ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে ঝুলছে তালা, হয়রানীর শিকার ভূমি মালিকগণ।
এ অফিসে জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম পর্চা ও রেকর্ডের সংশোধন বাবদ কাগজপত্রে আইনের জটিলতা দেখিয়ে এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে সরকারী নির্ধারিত খরচ ছাড়াও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পেশকার তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সেটেলমেন্ট অফিসের পেশকার তরিকুল ইসলাম দালালদের সাথে যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করে চলেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ৩থেকে ৪ বছর যাবৎ তিনি এ অফিসে কর্মরত আছেন। যোগদানের পর থেকে শুরু হয়েছে অনিয়ম-দূর্নীতি।
যা এখন প্রতিরোধ না করলে আগামীতে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ জনগণ।
কারণ তিনি টাকার বিনিময় ছাড়া কোন কাজ করেন না। ম্যাপশিট তুলতে সরকারি ফি ছাড়াও দলিলের নকল রংপুর থেকে তুলে এনে দেয়ার নাম করে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা নেন।
ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজ কালীগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসের দুর্নীতিবাজ পেশকার তরিকুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে পেশকার তরিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয় সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ফজলুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অফিস খোলা আছে কি না? জানতে চাইল তিনি জানান, অফিস তো খোলা আছে।
তবে কেন বন্ধ সেটা আমার জানা নেই। ফজলুর রহমান এ অফিসে কাগজে কলমে কর্মরত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ অফিসে আসেন না।
অথচ সরকারী সুযোগ সুবিধা ঠিকই ভোগ করছেন।