শরণখোলা (বাগেরহাট): বাগেরহাটের শরণখোলায় মোবাইল ফোনে পরকীয়ার জের ধরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীররাতে উপজেলার দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাসিন্দা নজির আহম্মেদ মৃধার বাড়িতে। ঘটনার পরদিনি আজ ভোরে আহত রুমন মৃধা (২৮) কে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার পরিবার। পুলিশ নববধূ কুমকুমি আকতার শিমু (২৫) কে আটক করেছে।
পুলিশ ও আহতের পরিবার সূত্র জানায়, প্রেমের সূত্র ধরে গত ৮ মাস আগে দক্ষিণ বাধাল গ্রামের বাসিন্দা নজির আহম্মেদ মৃধার ছেলে রুমন মৃধার সঙ্গে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটা গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুন শেখের মেয়ে কুমকুমি আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর মোবাইল ফোনে অপর এক মেয়ের সঙ্গে গভীর পরকীয়ায় মেতে ওঠে রুমন। বিষয়টি শিমুর নজরে আসলে বহুবার স্বামীকে বাধা দেন।
একপর্যায় এ নিয়ে উভয়য়ের মধ্যে অনেকদিন ঝগড়াঝাটি ও মারপিটের ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার রাতে রুমন গোপনে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে তার স্ত্রী শিমুর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শিমুকে বেধাড়ক মারপিট করে রুমন। পরবর্তীতে তারা ঘুমিয়ে পড়লে রাত অনুমান ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর গলায় আঘাত করেন শিমু। এতে রুমনের গলার শ্বাস নালীতে আঘাত লেগে অনেকটা কেটে যায় এবং ব্যাপক রক্ষক্ষরণ শুরু হয়। এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে শিমু পালিয়ে যায়।
পরে রুমনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং স্থানীয়দের সহয়তায় শিমুকে উপজেলার পল্লীমঙ্গল এলাকা থেকে আটক করে শরণখোলা থানা পুলিশ ।
শিমু সাংবাদিকদের বলেন, পিতার বাড়ির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করে যাকে ভ ভালোবেসেছিলেন, সেই মানুষটির খারাপ চরিত্র ও নির্যাতন সহ্য করতে না পারায় তিনি এমন ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার জানান, ওই গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্ত শেষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।