নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সেই আল-নূর মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার আট দিন পর শনিবার নামাজের জন্য মসজিদটি খুলে দেয় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের।
এ সময় মসজিদটির সামনে জড়ো হন অনেক নারী-পুরুষ।
শনিবার দুপুরের দিকে পুলিশ মসজিদের সামনে থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনি সরিয়ে ফেলে এবং এটিকে নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
মসজিদের ভেতরে ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক সাংবাদিক।
তার বর্ণনায়, “মসজিদের ভেতরে ঢুকে এখন আর সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের কোনো চিহ্ন নেই।
ভেতরে গেলে বোঝাই যাবে না যে, এখানে এক সপ্তাহ আগে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। ”
দেওয়ালের তাজা সাদা রং এখনো চকচক করছে। মেঝের পুরনো কার্পেটগুলো এক জায়গায় জড়িয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এখনও সেখানে নতুন কার্পেট দেওয়া হয়নি। এখনও মসজিদের কয়েকটি কক্ষ তালাবদ্ধ রয়েছে।
মসজিদের দেওয়ালের গুলির ক্ষত জায়গাগুলো প্লাস্টার করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভাঙা জানাগুলো পরিবর্তন করে নতুন জানালা লাগানো হয়েছে। জানালাগুলো একটি নতুন নকশায় রং করা হয়েছে। আর মসজিদের বাইরে নতুন গোলাপের চারা লাগানো হয়েছে।
মসজিদের প্রধান কক্ষের ডান দিকের অংশে দেখা গেল দু’জন পুরুষকে নামাজ পড়তে। আর বা দিকের অংশে ছিলেন চারজন নারী।
মসজিদে ছিল শুনশান নীরবতা। সেখানে এসির শীতল বাতাস আর দূর থেকে ভেসে আসা ট্রাফিকের শব্দ ছাড়া যেন কিছুই ছিল না।
নোটিশ বোর্ডে মুসলিম সম্পদ্রায়ের আগামী নির্বাচনের একটি ঘোষণাপত্র। এছাড়াও সেখানে ছিল কিছু লিফলেট যেগুলোতে নারীদের জন্য “মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার” করণীয় সাপ্তাহিক কার্যাবলি উল্লেখ ছিল।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর ও লিনউড মসজিদে মসজিদে ব্রেনটন ট্যারেন্ট নামের এক অস্ট্রেলিয়ান বন্ধুকধারী নির্বিচারে গুলি করে ৫০ মুসল্লিকে হত্যা করে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪২ জন। ”