খুলনায় প্রায় ৮ বছর পর যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শহীদ ইকবাল বিথার হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত। একই সাথে আগামী ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার চার্জ গঠন করেন। এর মাধ্যমে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।
আইনজীবীরা জানান, এই মামলায় মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আনিসুর রহমান পপলুসহ ৬ জন অভিযুক্ত আসামি রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়ার পর মামলার ৪ সন্দেহভাজন আসামি আদালতে জবানবন্দিতে তাদের নাম উল্লেখ করেছেন।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন জীবন ওরফে শবে কাদির, লিয়াকত আলী শিকদার, মনিরুজ্জামান মাসুদ ওরফে তোতা মাসুদ, একরাম হোসেন ওরফে সিয়াম ওরফে আকাশ এবং সুমন হোসেন ওরফে রাজু।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ জুলাই রাতে নগরীর মুসলমানপাড়ার মেট্রোপলিটন ক্লিনিকের সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শহীদ ইকবাল বিথার। এ ঘটনায় তার শ্যালক মো. রফিউদ্দিন বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১২ জুলাই সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি প্রথমে খুলনা সদর থানা পুলিশ ও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে। একপর্যায়ে মামলাটি ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ সেলে যায়। আাগামী ১৫ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহনের দিন ধার্য হয়েছে। মামলার ১ থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, ২০১৩ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিলে ২০১৪ সালের ১ আগস্ট সম্পূরক চার্জশিটে সাবেক সাংসদ মিজানুর রহমান ও যুবলীগ নেতা বুরুজের নাম বাদ দেয়া হয়। এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদি। আদালত এই আদেশ খারিজ করে দিলে বাদিপক্ষ উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেই থেকে কয়েক দফা চার্জগঠনের দিন পাল্টানো হয়।