বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। যিনি নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছিলেন সোচ্চার । সেই আবরার এখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে কবরে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস সকালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। তারা বেশ কিছু কর্মসূচিও দিয়েছে। সাথে রয়েছে নিরাপদ সড়কের জন্য কিছু যৌক্তিক দাবিও।
ঠিক এমনই এক দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আবরার নিজেও। গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে দু’জন শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর। তখন আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজধানীসহ পুরো দেশ। সেই আন্দোলনে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আবরার। যেখানে লেখা ছিল, ‘হ্যালো হানি বানি, চলো আইন মানি’।
নিরাপদ সড়কের দাবির ওই আন্দোলনে অংশ নিয়ে তিনি সবাইকে আইন মেনে চলার পরামর্শ দিলেন, সেই আবরারই বাস চাপায় প্রাণ হারালেন। তার ঠাই এখন কবরে।
এদিকে মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় আবরারের মৃত্যুর পর প্ল্যাকার্ড হাতে আবরারের সেই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই এখন ছবিটিকে ফেসবুক ওয়ালে দিচ্ছেন।
তাহসিন আহমেদ নামে একজন ছবিটি ওয়ালে দিয়ে লিখেছেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় আইন মেনে চলার আহবান জানানো আবরার আহমেদ চৌধুরীর কবর এটি। পিতা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরীকে বইতে হল পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু নিজ সন্তানের লাশ। রিপাবলিক অব চেতনায় ইতিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অক্ষমরা আবরারের নামে ফুটওভারব্রিজ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের সম্ভবত আরও আবরারদের সড়ক পথে করুণ মৃত্যু অসহায়ের মত দেখতে হবে। ’
বিপুল হাসান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আর কতো’।
মাহমুদ মানজুর নামের একজন লিখেছেন, ‘নিজেই নিজের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলার বাইরে আর কি কিছুই করার আছে আমাদের?’