ঢাকা: রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার জেরে সেখানে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তাতে সাড়া দেননি অবরোধকারীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার কিছু পরে ঘটনাস্থলে যান মেয়র। তিনি বাসচালকের শাস্তি নিশ্চিত করা ও নিহত শিক্ষার্থীর নামে সেখানে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। তবে মেয়রের এই আশ্বাসে সাড়া দেননি অবরোধকারীরা।
আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহন নামের একটি বাসের চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নিহত শিক্ষার্থীর নাম আবরার আহমেদ চৌধুরী (২০)। তাঁর বাবা আরিফ আহমেদ চৌধুরী।
আবরার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—বাসচালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকেরা যেন যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী-সেতু স্থাপন।
অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে প্ল্যাকার্ড হাতে এক শিক্ষার্থী। ছবি: আবদুস সালাম
অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বেলা ১১টার কিছু পর ঘটনাস্থলে যান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে বাসচালকের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে। সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস ওই রুটে চলতে দেওয়া হবে না। নিহত আবরারের নামে সেখানে তিন-চার মাসের মধ্যে একটি পদচারী-সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
মেয়র আরও বলেন, খুব শিগগির ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বাস চলাচল একটি পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সব ব্যবস্থা নেব। আপনারা অবরোধ তুলে নেন।’
তবে অবরোধকারীরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দেননি। তাঁরা প্রশ্ন রাখেন, জাবালে নূর পরিবহন এখনো চলছে। এখনো প্রতিদিন সড়কে প্রাণহানি ঘটছে। অবরোধকারীদের এমন মন্তব্যের পর মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।