রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কংলাক থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে প্রিসাইডিং অফিসারসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আরও ২৬জন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নয় কিলো এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান (৪৫), সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন (৪০), আনসার ভিডিপির সদস্য জাহানারা বেগম (৪০), আলা-আমীন (১৭) বিলকিস আক্তার (৩০), মিহির কান্তি দত্ত (৩৫) ও পথচারী মন্টু চাকমা (৩৫)।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদিম সারোয়ার জানান, উপজেলার বাঘাইহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কংলাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভোটগ্রহণ শেষে যখন তারা মালামালসহ উপজেলা সদরে আসছিল। তাদের গাড়ি বহরটি বাঘাইছড়ি উপজেলার নয় মাইল এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উপর থেকে তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
এতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমির হোসেন, আনসার ভিডিবির সদস্য জাহানারা বেগম, আলা-আমীন, বিলকিস আক্তার, মিহির কান্তি দত্ত ও পথচারি মন্টু চাকমা নিহত হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে পালাতে চায়লে বাকি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য গুলি করে একই সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় আহত হয় আরও ২৬ জন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের মধ্যে ১১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হেলিকপ্টার মাধ্যমে চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি ১৫ জন বাঘাইছড়ি স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আহতদের তাৎক্ষণিক কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, বাঘাইছড়ি খুবই দুর্গম এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে সাতজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেলেও এখনো পর্যন্ত মুত্যুর সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।