ঢাকা: নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সদ্য অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুন:নির্বাচন দাবিতে পাঁচটি প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ পৌনে ১২টার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে তারা এই অবস্থান নেয়। এর আগে তারা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল বের করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে জিএস পদে নির্বাচন করা আসিফুর রহমান, ছাত্র ফেডারেশন থেকে জিএস পদে নির্বাচন করা উম্মে হাবিবা বেনজীর, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্যানেল থেকে জিএস পদে নির্বাচন করা রাশেদ খান ও স্বতন্ত্র জোটের অরণী সেমন্তি খানসহ অনেকে।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সূর্যসেন হল, মুহসীন হল, ভিসির বাসভবন সংলগ্ন চত্ত্বর হয়ে ভিসি কার্যালয়ের সামনে যায়।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্র ফেডারেশনের উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, ১১ তারিখের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় তৈরি করল। তাদেরকে এর দায় নিতে হবে। এই দায় নিয়ে তাদের সরে যেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের সামনে তারা লজ্জাজনকভাবে উপস্থাপন করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্বতন্ত্রজোট থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী অরণী সেমন্তী খান বলেন, নির্বাচনের আগে প্রশাসন বলেছিল লিখিত অভিযোগ দাও আমরা দিলাম।
এছাড়া মৌখিক অভিযোগও দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হলো না। আজকে আমরা এখানে অবস্থান নেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আমাদের কথা শুনবেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের রাশেদ খান বলেন, প্রশাসন বলেছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। কিন্তু তারা একটি কারচুপিপূর্ণ নির্বাচন দিয়েছে। তারা নির্বাচনের দিন ভোটারের কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করেছিল এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে দেয়নি।
স্বাধিকার পরিষদের আসিফুর রহমান বলেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে ১১ই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী জানে কী হয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রমাণ চায়। এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে। সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কারচুপির নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব হলে শিক্ষার্থীরা কারচুপি রুখে দিয়েছে প্রশাসন সেগুলোর কথা বলছে। যেগুলোতে রুখতে পারেনি সেগুলোর কথা বলছে না।