সুনামগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ আন্দোলনের সদর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে উকিল আলীকে নামে একজন আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহতের বড় ভাই আজিজ মিয়া রাত ৯টায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজাদ মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের পিটিআই এলাকায় দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় আজাদ মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
মাথায় গুরুতর জখম থাকায় হাসপাতালে গত দুই দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় মৃত্যু হয় তার।
হাওরের বাঁধের নির্মাণ কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় এলাকার প্রভাবশালী মহলের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা আজাদ মিয়ার ওপর হামলা করিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের লোকজন।
আজাদ মিয়ার ভাই আফরোজ রায়হান বলেন, আমার ভাই ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে দুর্নীতির প্রতিবাদ করে আসছেন। এতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। আমরা আশঙ্কা করছি স্থানীয় এই প্রভাবশালী মহল আমাদের ভাইকে প্রাণে মারার জন্যে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। আমরা হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে, দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত আজাদ মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু ও সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানান এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আজাদ মিয়ার মৃত্যুর খবরটি পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।