গাজীপুর: গাজীপুর জেলা শহর এখন মহানগরও হয়েছে। কিন্তু গাজীপুর জেলা শহর কাম মহানগরের প্রধান সমস্যা জয়দেবপুর রেলক্রসিং। অতীত ও বর্তমান সময়ে যারা জনপ্রতিনিধি তারা এই রেলক্রসিংয়ের নিকট পরাজিত হয়েছেন বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগী মানুষ। কারণ শত প্রতিশ্রুতি সত্বেও তৈরী হয়নি জয়দেবপুর রেলক্রসিং এর উপর ওভারব্রীজ।
জানা যায়, গাজীপুর শহরে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। এই যানজটের প্রধান কারণ রেলক্রসিং, এটা পরিস্কার। অসংখ্য ট্রেন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করার ফলে রেলক্রসিং এর যানজট নিত্যদিনের ঘটনা। অনেক সময় দেখা যায়, জরুরী রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের জরুরী গাড়িও আটক পড়ে রেলক্রসিং যানজটে। তবে উচ্চ পদস্থ সরকারী লোকজনের ক্ষেত্রে অনেক সময় যানজট অপরিহার্য হয়ে উঠে না। কারণ রেলক্রসিং-এ যানজট থাকাকালীন কোন ভিআইপি বা ভিআইপি লোকজনের গাড়ি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় উল্টো পথে চলে যেতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যে সকল যানবাহনে চলাচল করেন সে সকল যানবাহন দীর্ঘ সময় রেলক্রসিং যানজটে আটকে থাকে। এমনো দেখা যায়, একেবারে কয়েকটি ট্রেন যাতায়াত করার কারণে অনেক যানবাহনকে দীর্ঘক্ষন আটকে থাকতে হয়। ফলে যানজটে পড়ে ভুক্তভোগীরা নানা সময় অশ্লীল গালিগালাজও করেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাজীপুর শহরের এই যানজট সৃষ্টিকাল থেকেই। এই রেলক্রসিংয়েই ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ সংঘটিত হয়েছিল স্বশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। ১৯৭১ এর পর থেকে অসংখ্য সরকার ক্ষমতায় থাকলেও এই রেলক্রসিং এর উপর কোন ওভারব্রীজ নির্মান হয়নি। আওয়ামীলীগ সরকার গাজীপুর জেলায় একাধিক ফ্লাইওভার তৈরী করলেও জয়দেবপুর রেলক্রসিং এর উপর কোন ব্রীজ করছে না। বিভিন্ন সময় প্রশাসন বলছে, কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে হবে, তার কোন দৃশ্যমান বাস্তবতা নেই।
সুশীল সামজের লোকজন বলছেন, আন্দোলন ছাড়া যেহেতু কোন কিছুই পাওয়া যায় না, তাই জয়দেবপুর রেলক্রসিং এর যানজট সমাধানে আন্দোলন শুরু করতে হবে।