কাওরাইদে কালভার্ট দেবে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ

Slider গ্রাম বাংলা


রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার-কাওরাইদ সংযোগ সড়কের বাজারের প্রবেশ মুখে কাওরাইদ খালের উপর নির্মিত একটি কালভার্ট বেশ কিছুদিন আগে সহ্য ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই যানের চাপে দেবে যায়। এর পর থেকেই অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ভাঙ্গা কালভার্টের উপর দিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। তবে যে কোন সময় ছোট এই কালভার্টটি ধসে পরে বড় ধরনের জান মালের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করেছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তথ্যমতে, জৈনা বাজার কাওরাইদ সড়কের দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এই সড়কের সাথে কাওরাইদ থেকে সংযোগ হয়েছে পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের কাওরাইদ খালের উপর ১৯৮৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয় এই কালভার্টটি। তবে ইটা ও বালি বোঝাই গাড়ীর অতিরিক্ত চাপে সম্প্রতি এই কালভার্টটি দেবে যায়।

ধামলই গ্রামের সাবেক মেম্বার আলম খান জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট ও মাঝারী ধরনের যানবাহন চলাচল করে, এছাড়াও চলে ইটা ও বালি বোঝাই লড়ি। কালভার্টটি দেবে যাওয়ার পরও শুধু লাল কাপড় টানিয়েই দায়িত্ব সেরেছে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অনেকে অলিখিত ঝুঁকির এ কথা আমলে না নিয়ে ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলাচল করছে এতে যে কোন সময় কালভার্টটি ধসে পরে জীবন হানীর ঘটনাও ঘটতে পারে।

কাওরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জানান, ছোট এই কালভার্টের কারনে এখন বড় ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই কালভার্টটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। এছাড়াও এখানে ঝুঁকির কথা উল্লেখ সাপেক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি টানানোও প্রয়োজন।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ঢালী জানান,গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি প্রতিদিন ব্যবহার করে আসছে শ্রীপুরে সহ পাশ্ববর্তী উপজেলার কয়েক হাজার লোকজন।এই কালভার্টের উপর দিয়ে বহু যানবাহনও চলাচল করে। সম্প্রতি এই কালভার্টটি দেবে যাওয়ায় বড় ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে একদিকে তৈরী হয়েছে ভোগান্তি অপরদিকে রয়েছে ঝুঁকি।

শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদুল ইসলাম জানান,সেতুটির একাংশ ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে আমরা ইতিমধ্যেই লাল কাপড় টানিয়ে বিপদ সংকেত দিয়েছি। এদিকে কালভার্টটি নির্মানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করেছি আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *