ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ পুনঃভোটের দাবি সরাসরি নাকচ করে বলেছেন, নির্বাচন নতুন করে হওয়ার কোনো সুযোগ আর নেই। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, দুটি হলের একটিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে অপর একটি হলে (রোকেয়া হলে) যা হয়েছে, সেটি ছিল হাঙ্গামা। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কাজেই ডাকসু নির্বাচন যারা বর্জন করেছে, সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে নির্বাচন বাতিল করার এখন কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু ও হল সংসদগুলোর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন সোমবার শেষ হয় অনিয়মের নানা অভিযোগ এবং অধিকাংশ প্যানেলের প্রার্থীদের বর্জনের মধ্যে দিয়ে। ছাত্রদল, বাম জোট, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে পুননির্বাচনের দাবি জানায়।
রাতে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, ডাকসুতে ভিপি ছাড়া সবগুলো পদেই জয়ী হয়েছেন সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। আর ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মোর্চা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নূরুল হক নূর।
ভিপি পদে পরাজয় মানতে না পেরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নেতা নূরুল হক নূরকে ভিপি পদে জয়ী করতে ‘অনেক বড় জালিয়াতি’ হয়েছে অভিযোগ করে ওই পদে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।