ঢাকা: ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) হিসেবে নুরুল হককে মেনে নিতে চায় না ছাত্রলীগ। নুরুল ভিপি হওয়ার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নুরুল হক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই তাঁকে তাঁরা ভিপি হিসেবে মানবেন না।
বিক্ষোভের সময় উপাচার্য তাঁর বাসভবনেই ছিলেন।
ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর ভাষ্য, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মভিত্তিক দল বা শিবিরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। নুরুল হক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নুরুলকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আমাদের সংগঠনসহ সাধারণ অনেক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। রাতেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবেই শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
গতকাল সোমবার রাতে ভিপি পদে বিজয়ী হিসেবে নুরুল হকের নাম ঘোষণার পর থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রলীগ। রাতে ফল ঘোষণার সময় সিনেট ভবনের চারপাশে বিক্ষোভ করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্য অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে তিনি বাসায় ফিরে যান।
দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের উৎসাহ ও আনন্দ ভোটের দিনে বেশ কিছু অনিয়মের কারণে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ বাদে প্রায় সব প্যানেল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। ফল ঘোষণা নিয়েও গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত রাত সোয়া তিনটায় ঘোষিত ফলে দেখা যায়, ভোট বর্জন করেও সহসভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল হক। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রলীগের গোলাম রাব্বানী। সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন। ডাকসুর মোট ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতেই ছাত্রলীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
১৮টি হল সংসদের মধ্যে ১২টিতে ভিপি পদে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। বাকি ছয়টি হলে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ছাত্রদের হলে ছাত্রলীগ প্রায় একচেটিয়া জয় পেলেও ছাত্রীদের পাঁচটি হলের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা।