দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোট শুরুর আগেই হলে হলে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। এসময় ভোটারদের লাইন মূল ফটকের বাইরে সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে।
প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী ভোটে নির্বাচন করবেন তাদের প্রতিনিধি। ছয় ঘণ্টার ভোটে চূড়ান্ত হবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতৃত্ব। এই নির্বাচন সামনে রেখে উৎসবমুখর ক্যাম্পাস।
আছে শঙ্কাও।
বিরোধী প্রার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে রাতেই কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ব্যালট-বাক্স। গণমাধ্যমের ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা করছে প্রশাসন। মান্দাতার আমলের স্টিলের ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে নির্বাচনে।
হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র স্থাপন আর ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানোর জোরালো দাবি ছিল শুরু থেকেই। এসব দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। দেশের আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার ডাকসুর নির্বাচনে চোখ পুরো দেশের। বিগত নির্বাচনগুলোর নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সামনে রেখে সবার অধির আগ্রহ কি হবে ডাকসুতে।
ডাকসু নির্বাচনের জন্য ছাত্রদের ১৩টি এবং ছাত্রীদের ৫টি হলে প্রস্তুত করা হয়েছে ৫১১টি বুথ। এর মধ্যে মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ৩২টি, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৩৫টি, শহীদুল্লাহ হলে ২০টি, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৫টি, অমর একুশে হলে ২০টি, জগন্নাথ হলে ২৫টি, কবি জসীম উদ্দীন হলে ২০টি, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ৩০টি, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২১টি, স্যার এ এফ রহমান হলে ১৬টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২৪টি, জিয়াউর রহমান হলে ২০টি এবং বিজয় একাত্তর হলে ৪০টি, রোকেয়া হলে ৫০টি, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪৫টি, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ১৯টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২০টি, শামসুন্নাহার হলে ৩৫টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।