গোটা দেশ এবং দেশের সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে থাকলেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে যে তার দল নেই সেকথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মমতার অভিযোগ গত পাঁচ বছরে মোদি সরকার কিছুই করেন নি, তাই এখন মিশাইল, বোমা এবং জওয়ানদের লাশ নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করতে করছে।
বুধবার হাওড়ার একটি সরকারি অনুষ্ঠান থেকে মমতা বলেন ‘পাঁচ বছর হয়ে গেল। ওষুধের তারিখ পেরোনোর পর কি সেই ওষুধ খেয়ে লাভ আছে? সেই ওষুধে কোন কাজ হয়? এই ওষুধ খেলে ভাল হবে না খারাপ হবে? যে সরকারের এক্সপেয়ারি ডেট ওভার হয়ে গেছে আর দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে।
এখন তোমাকে কখনও মিসাইল দেখাতে হচ্ছে, কখনও বন্দুক, বোমা দেখাতে হচ্ছে, কখনও জওয়ানদের রক্ত দিয়েও সুযোগের রাজনীতি করছো। লজ্জা করে না?’
মনে রাখবেন আমরা বাহিনীর সাথে আছি, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, স্থলবাহিনীর সাথে আছি, আমরা গোটা দেশের সাথে আছি, আমরা মানুষের সাথে, সম্প্রীতি, একতার সাথে আছি, কিন্তু আমরা মোদি বাবুর সাথে নেই, বিজেপির পক্ষে নেই। কালো তালিকাভুক্ত সরকারের পক্ষে নই।
আর এই পরিস্কার কথাটা যে বলতে বলতে যাচ্ছে তাদের বলা হচ্ছে পাকিস্তানি। আমরা সবাই পাকিস্তানি আর উনি একা হিন্দুস্থানি। ’
একসময় মোদি-অমিত শাহ জুটিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, ‘মোদি বাবু আর অমিত শাহের সাইন বোর্ড আমরা ভারত থেকে উঠিয়ে দেবো। ওরা যত তাড়াতাড়ি যাবে দেশ বাঁচবে। দেশের অবস্থা আজ খুব খারাপ। দেশ বাঁচলে আমরা সবাই বাঁচবো। ’
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৈরি করার মতো মারাত্মক অভিযোগ এনে মমতা এদিন বলেন ‘আমরা অনেক সরকার দেখেছি কিন্তু এরকম প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখিনি। বিজেপি সরকার সারা ভারতের শ্রেণী বিভাগ করে দিয়েছে। এই সরকার সন্ত্রাসবাদের বড় সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। সবাইকে আজ সন্ত্রাসী করে রেখেছে। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কিন্তু যিনি এত মানুষকে সন্ত্রাসবাদী তৈরি করে রেখেছে..কখনও দেখেছেন কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সে দেশের মানুষ এত ভয় পায়? দেখলেই মনে হয় ওরে বাবা গব্বর সিং চলে এসেছে। ’
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন ‘আমি এরকম করি না নরেন্দ্র মোদির মতো- একটা বাথরুমের উদ্বোধন করতে চলে যাচ্ছি। আর গিয়ে গালাগাল দিয়ে চলে আসছি। আমরা এগুলো করি না। একসাথে আমি প্রায় প্রায় হাজার হাজার প্রকল্প করে দিই। তাছাড়া এত প্রচারণার কি দরকার? কাজ করতে এটা এমনিতেই হয়। কাজ করবে না শুধু পাবলিসিটি?’