নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় লিটনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত লিটন মিয়াকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। সেইসাথে ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের জন্য স্কুলছাত্রীটিকে আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কেন্দুয়া লিটন পুলিশের এসআইয়ের পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নাটোরের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে। বিয়ের প্রলোভনে অবশেষে সেই প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে নেত্রকোনায় এসে ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে আরো জানায়, কেন্দুয়ার দ্বিগর সহিলাটি গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া।
গত প্রায় দুই মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের কথা বলে গত ২ মার্চ ওই ছাত্রীটিকে মোবাইল ফোনে তার নিজ এলাকায় আসতে বলে। ছাত্রীটি ওইদিনই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরে। রাত ৮টার দিকে ময়মনসিংহের ব্রিজ এলাকা থেকে ছাত্রীটিকে তাদের বাড়িতে আনার কথা বলে রওয়ানা দেয়। এ সময় ছাত্রীটির সন্দেহ হলে লিটন নিজেকে এসআইয়ের ভাতিজা পরিচয় দেয়। পরে রাত প্রায় ১১টার দিকে ছাত্রীটিকে লিটনের বাড়ির পেছনে মুকুন্দবাদ গ্রামের জমত আলীর পুকুর পাড়ে নিয়ে লিটন ও তার বন্ধু সাইদুল দু’জন মিলে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ধর্ষণের পর ছাত্রীটিকে লিটন তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বররা সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাটি অবহিত হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত লিটনকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের অভিযুক্ত লিটনের বন্ধু সাইদুলকেও গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে জানিয়ে ওসি বলেন, লিটন এবং তার সহযোগীরা এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড এলাকায় বহুবার ঘটিয়েছে বলেও এলাকাবাসী জানান।