পাকিস্তানের ভূখণ্ডে তিনি প্যারাশুটে করে নেমেছিলেন। নামার পরেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের পিছু হঠানোর জন্য শূন্যে গুলি চালান। তারপর ঝাঁপ দেন কাছের একটি পুকুরে এবং তার সঙ্গে থাকা সমস্ত তথ্য প্রমাণ নষ্ট করেন।
তিনি, ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান।
বুধবার তার বিমানটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই পাইলট ঠিক এই কাজগুলো করেছিলেন বলেই জানিয়েছে সূত্র। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ টেনশনের আগুন বেড়ে গিয়ে গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তার জন্যই যেন থেমে গেল।
শুক্রবার রাত ৯টার পর তাকে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে পাকিস্তান।
গত ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত ও পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর মধ্যে আকাশ পথে প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সময়ই পাকিস্তানি সেনার হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে, তার আগে কিছু ঘটনা ঘটে। যার অল্প উল্লেখ করা হয়েছে প্রথম কয়েকটি বাক্যেই। যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য!
দু’দেশের বিমান বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলাকালে পাকিস্তানের একটি অত্যাধুনিক এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করেন অভিনন্দন। তারপর ধ্বংস হয়ে যায় তার বিমানটিও।
বিমানে আগুন লাগার পর তিনি প্যারাশুটে করে বিমান থেকে ঝাঁপ দেশ।
মাটি স্পর্শ করার পর একদল জনতা ঘিরে ধরে তাকে। তখন তিনি তাদের কাছে প্রশ্ন করে জানতে পারেন যে, সেটি আসলে পাকিস্তান ভূখণ্ড কিনা। নিজেকে বাঁচানোর একটাই রাস্তা ছিল তার। পিস্তল ফেলে দিয়ে এবং পালানোর চেষ্টা করেন অভিন্নদন। মানুষ আমার পিছু নেয়। তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছিল। ওই সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দুই সদস্য সেখানে আসেন। তারা তাকে সেখান থেকে বাঁচান।
বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, ছেড়ে দেয়া হবে অভিনন্দন বর্তমানকে। এই খবর পাওয়ার পর হালে পানি পায় ভারত।
অমৃতসর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে আটারিতে এই নায়ককে স্বাগত জানাতে ভোর ছ’টা থেকেই ভিড় জমিয়েছেন ভারতীয়রা।
আটক অভিনন্দনকে ছাড়ার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। এক ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রেহায় পায় প্রতিবেশী দুই দেশ বলে মত দিয়েছেন ভারত-পাকিস্তানের বিজ্ঞজনরা।