আল ফারুক (১৪)। ঢাকার বাড্ডার উম্মুল কোরা মাদ্রাসার একজন ছাত্র। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে মাদ্রাসার অন্য সব ছাত্রের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল ফারুকও। মধ্যরাতে শাপলা চত্বর থেকে পুলিশ ও র্যাবের হেফাজত কর্মীদের হটানোর বিশেষ অভিযানের পর আর খোঁজ মেলেনি ফারুকের।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নবাবপুর শিংগাড়া গ্রামের সোলায়মান বিন মোবারকের ছেলে ফারুকের শাপলা অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ভেবে তার গায়েবি জানাজা, জিয়াফত এবং সর্বশেষ চলতি বছরের ৫ মে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীও পালন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৯ মাস পর গত বুধবার চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার বিখ্যাত মিছকিন শাহর মাজার থেকে ফারুককে জীবিত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা রাইজিংবিডিকে জানান, শাপলা চত্বর থেকে নিখোঁজ হওয়ায় আল ফারুক নিহত হয়েছিল বলে তার পরিবার অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এক মাস আগে একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে ফারুকের মায়ের মোবাইলে ফোন করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এই মোবাইল নম্বর ঘিরে ফারুকের পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশ এক মাস মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে চট্টগ্রামে ফারুকের সন্ধান পায়।
নগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে নগরীর চকবাজার এলাকায় হজরত মিছকিন শাহর মাজার থেকে আল ফারুককে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ফারুক জানিয়েছে, সে এই দীর্ঘ ১৯ মাস বিভিন্ন মাজারে মাজারে পালিয়ে থেকেছে। তবে কেন সে এত দিন এভাবে লুকিয়ে ছিল এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য জানতে পারেনি পুলিশ। তবে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এর রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্ট চলছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।