সীমান্তে মানবপাচার প্রতিরোধে বিজিবির কড়া সতর্কতা

Slider জাতীয়

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে কড়া সতর্কতায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ইস্যুতে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

শনিবার বিকালে টেকনাফ পৌরসভা চৌধুরীপাড়া নাফ নদীতে নির্মিত ‘টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিতে’ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ সহযোগিতা চান টেকনাফ ২ ব্যাটলিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী ও উপ অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী হাফেজ মো. কাশেম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল্লাহ মনির, আশেক উল্লাহ ফারুকী, আব্দুস সালাম, আব্দুর রহমান, আবুল আলী, নুর হাকিম আনোয়ার, মো. রশিদ, ফরহাদ আমিন, মো. শাহীন, ছৈয়দুল আমিন চৌধুরী প্রমূখ।

মতবিনিময় ও নাফনদীতে নৌ-ভ্রমণকালে বিজিবি সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট পরিদর্শন করেন।
অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী বলেন, বিজিবির সদস্যরা সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নদীতে টহল দেয়, অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইয়াবা ও মানবপাচার প্রতিরোধে আপ্রাণ চেষ্টায় রয়েছে, এরপরও কোথাও হয়তো বা দুস্কৃতকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ইয়াবাপাচার ও মানবপাচারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে বিজিবি আরও সঠিক দায়িত্ব পালন করে ইয়াবা ও মানবপাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

অধিনায়ক বলেন, রাতের বেলায় নাফ নদীতে দমদমিয়ায় তিনটি, টেকনাফের তিনটি, সাবরাং এ দুইটি, নাজিরপাড়ায় একটি ও শাহপরীর দ্বীপে তিনটিসহ ১৭টি বিজিবির টহল নিয়োজিত রয়েছে। তবে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে এ জনবল দিয়ে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। এসব ট্রলারে ৪-৬ জন করে জনবল থাকে। সীমান্তে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বিজিবির সদস্যরা। তবে যে কোন উপায়ে ইয়াবা ও মানবপাচার রোধ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *