জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দাবি করেছেন, তিনিই এ দেশে সরকারি অফিস-আদালতে বাংলা চালু করেছেন। এরশাদ বলেন, সরকারি অফিস, আদালতে বাংলা চালু করেছে কে? আমি। রফিক-জব্বারের কথা যারা বলেন, যাঁরা মালা দিতে যান, ফুল দিতে যান, গান গেয়ে ওঠেন, তাঁরা করেননি। আমিই করেছি। যাঁরা বাংলা ভাষা ব্যবহার করবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য আইন আমিই করেছিলাম। বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এরশাদ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায়ই বলেন এরশাদ খুনি- অভিযোগের সুরে এমন কথা বলে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে এরশাদ বলেন, আমি বলব আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখবেন। গাইবান্ধায় আপনারা সারের জন্য ২০ কৃষককে হত্যা করেছিলেন। তাঁদের নাম লেখা আছে। আমি তাঁদের জন্য স্মৃতিসৌধ করব। সেখানে লেখা থাকবে বিএনপির দুঃশাসনের শিকার। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে ওই ঘটনার বিচার করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে এরশাদ বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে এসবের হিসেব একদিন নেব। তখন দেশের মানুষ জানবে খুনি খালেদা না এরশাদ।
দেশে গুম-খুন হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা তো আমাদের খুন-গুম-হত্যা করেছিল। কিন্তু এখনতো দেশ স্বাধীন। আমাদের দেশ, আমাদের সরকার। তাহলে দেশে কেন খুন, গুম, হত্যা হচ্ছে? সেখানে কেন মায়ের বুক খালি হবে? শিক্ষাঙ্গনে কেন ছাত্র ও শিক্ষক হত্যা হবে? দেশে এখন সুশাসনের অভাব। দুঃশাসন আবার দেশে নতুন করে ফিরে এসেছে। আমরা দুঃশাসন চাই না। দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্তি চাই।
জাতি আজ হতাশায় নিমগ্ন। আজ আমরা স্বপ্ন দেখি না। আমরা সকাল বেলা উঠেই শুনি কয়টা মায়ের বুক খালি হয়েছে, কয়টা বাবার বুক খালি হয়েছে। বিএনপিই প্রথম দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল দাবি করে সাবেক এই স্বৈরশাষক বলেন, এ দেশে সর্বপ্রথম প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি। তারা আমাদের জেলে পাঠাল। মামলা দিল। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেই কোথায় ছিল তখন গণতন্ত্র? কোথায় ছিল তখন লেবেলফিল্ড?
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রায়ই বলেন এরশাদ খুনি- অভিযোগের সুরে এমন কথা বলে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে এরশাদ বলেন, আমি বলব আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখবেন। গাইবান্ধায় আপনারা সারের জন্য ২০ কৃষককে হত্যা করেছিলেন। তাঁদের নাম লেখা আছে। আমি তাঁদের জন্য স্মৃতিসৌধ করব। সেখানে লেখা থাকবে বিএনপির দুঃশাসনের শিকার। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে ওই ঘটনার বিচার করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে এরশাদ বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে এসবের হিসেব একদিন নেব। তখন দেশের মানুষ জানবে খুনি খালেদা না এরশাদ।
দেশে গুম-খুন হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা তো আমাদের খুন-গুম-হত্যা করেছিল। কিন্তু এখনতো দেশ স্বাধীন। আমাদের দেশ, আমাদের সরকার। তাহলে দেশে কেন খুন, গুম, হত্যা হচ্ছে? সেখানে কেন মায়ের বুক খালি হবে? শিক্ষাঙ্গনে কেন ছাত্র ও শিক্ষক হত্যা হবে? দেশে এখন সুশাসনের অভাব। দুঃশাসন আবার দেশে নতুন করে ফিরে এসেছে। আমরা দুঃশাসন চাই না। দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্তি চাই।
জাতি আজ হতাশায় নিমগ্ন। আজ আমরা স্বপ্ন দেখি না। আমরা সকাল বেলা উঠেই শুনি কয়টা মায়ের বুক খালি হয়েছে, কয়টা বাবার বুক খালি হয়েছে। বিএনপিই প্রথম দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল দাবি করে সাবেক এই স্বৈরশাষক বলেন, এ দেশে সর্বপ্রথম প্রতিহিংসার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি। তারা আমাদের জেলে পাঠাল। মামলা দিল। যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেই কোথায় ছিল তখন গণতন্ত্র? কোথায় ছিল তখন লেবেলফিল্ড?