চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর সোনাইমুড়িসহ বিভিন্ন উপজেলার নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকে মুহ্যমান পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্ব স্ব এলাকার নিহতদের কয়েকজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে লাশ বাড়ি পৌঁছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
স্বজনদের আহাজারিতে বাসাত ভারি হয়ে উঠে।
এদিকে চকবাজার ট্যাজেডিতে নিহতদের মধ্যে নোয়াখালীর ১৩ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী নিহতরা হলেন-
১. কামাল হোসেন, পিতা- নুর মোহাম্মদ, গ্রাম মুজাহিদপুর, উপজেলা বেগমগঞ্জ
২. মোশাররফ হোসেন, পিতা-মাহফুজুর রহমান, গ্রাম-হরিদ বল্লবপুর, উপজেলা-বেগমগঞ্জ
৩. আলী হোসেন, পিতা-বুলু মিয়া, গ্রাম-পশ্চিম নাটেশ্বর
৪. হেলাল হোসেন, পিতা- সৈয়দ আহম্মদ, গ্রাম-পূর্ব নাটেশ্বর
৫. সিদ্দিক উল্লাহ, পিতা- মৃত সুরুজ মিয়া, গ্রাম-পূর্ব নাটেশ্বর
৬. মাসুদ রানা, পিতা সাহেব উল্লাহ, গ্রাম-ঘোষকামতা
৭. মাহবুবুর রহমান রাজু, পিতা-সাহেব উল্লাহ,
৮. আয়েশা খাতুন, স্বামী রফিকুল মিয়া, গ্রাম চাঁনগাঁও
৯. আবদুর রহিম, পিতা-আলী আজ্জম, গ্রাম-ওয়াসেকপুর
১০. জসিম উদ্দিন, পিতা-শহীদুল হক, গ্রাম-চর এলাহী, উপজেলা- কোম্পানীগঞ্জ
১১. নাছির উদ্দিন, পিতা-গাউস মিয়া, গ্রাম নাটেশ্বর
১২. আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পিতা-সিরাজ মিয়া, গ্রাম-দৌলতপুর এবং
১৩. শাহাদাত উল্লা হিরা, পিতা-মৃত মমিন উল্লা, গ্রাম-মির্জা নগর।
নিহতদের মধ্যে সকাল ৮টায় পূর্ব নাটেশ্বর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, ৯টায় ঘোষকামতা গ্রামের মাসুদ রানা ও মাহাবুবুর রহমান রাজুর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টা বেগমগঞ্জের মুজাহেদপুরে কামাল হোসেন, কোম্পানীগঞ্জের জসিম উদ্দিন ও রাত ৩টার দিকে পশ্চিম নাটেরশ্বর গ্রামের মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেনেরও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে বাকীদের জানাজা সম্পন্ন হবে।