চকবাজার ট্র্যাজেডি: নিহত অন্তত ৬৭

Slider জাতীয়


ঢাকা: হঠাৎ বিস্ফোরণ। বিকট শব্দ। বিধ্বংসী আগুন। লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে সড়ক, দোকান, রেস্টুরেন্টে। মাটি থেকে বহুতল ভবন। সর্বত্র শুধু আগুন আর আগুন। সড়কে থাকা গাড়ি ও হোটেলের গ্যাসের সিলিন্ডারে একের পর এক বিস্ফোরণ। তুলোর মতো উড়ছিল বডি স্প্রে, পারফিউম, লোশনের কৌটা।

বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ছিল মার্কেটের দেয়াল। এ যেন কেয়ামতের দৃশ্য। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘিরে ধরে চারপাশ। পালিয়েও বাঁচার উপায় নেই। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই দগ্ধ হয়েছেন। পুরে অঙ্গার হয়েছে দেহ। মা-বাবা ছেলে, বাবা-ছেলে, ভাই ভাইকে জড়িয়ে তারা চলে গেছেন না ফেরার দেশে।

পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন অন্তত ৬৭জন। আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নয়জন। সরকারি হিসেবে ১১ জনের নিখোঁজের তথ্য দেয়া হলেও রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের হিসেবে এখনও ৬২ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিহতদের মধ্যে গতকাল রাত পর্যন্ত ৪০ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন তাদের স্বজনরা। তাদের ৩৭ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা যায়নি তা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সুহেল মাহমুদ।

অমর একুশে উদযাপনের দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জনের প্রাণহানির ঘটনার নয় বছর পর একই এলাকায় এ ধরনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। নিমতলীর ঘটনায় দাহ্য পদার্থের কারণে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছিল। চকবাজারেও গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন শোক প্রকাশ করে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

এ যেন কেয়ামতের দৃশ্য: কেমিক্যাল, গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন ক্রমেই বাড়ছিল। আগুনে পুড়ছিল মানুষ। ভস্ম হচ্ছিল দোকানের পণ্য, সড়কের যানবাহন। কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুন ঝাঁপটে ধরেছে আশপাশের প্রায় সবাইকে। আগুনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালাতে পারেনি পথচারীরাও। এমনকি আগুন থেকে রক্ষা পেতে পাশের মার্কেটে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন রক্ষা পাননি তারাও। আগুন তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে মনে হচ্ছিল পৃথিবী বুঝি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই জীবন্ত মানুষগুলো কয়লার মতো হয়ে গেলো। রাতভর চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত শেষে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। একে একে উদ্ধার করা হয় ৬৭টি লাশ।
রাত তখন সাড়ে ১০টার বেশি। চুড়িহাট্টা, নন্দ কুমার দত্ত রোড ও হায়দার বক্স রোডের শাহী জামে মসজিদ সংলগ্ন মোড়ে তীব্র যানজট। গাড়ি চলছে না কিছুতেই। অনেকেই চালককে গাড়িতে রেখে নিজেরা হেঁটে গন্তব্যে যান। এরকম একটি প্রাইভেট কার মসজিদের সামনে মোড়ে যানজটে ছিল। পাশে ছিল আরো একটি প্রাইভেট কার, একটি পিকআপ, ১৫-১৬টি মোটরসাইকেলসহ, রিকশা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শী পারভেজ স্টোরের আলমগীর হোসেন জানান, রাত তখন প্রায় সাড়ে ১০টা। তীব্র যানজট। হঠাৎ বিকট শব্দ। কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা। তাকিয়ে দেখি প্রাইভেট কারে আগুন। আগুন নিয়ে কারটি শূন্যে উড়ছিল। তারপর জীবন বাঁচাতে দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন তিনি।

একইভাবে ওই এলাকার ৫৫/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী ইরফান হোসেন ইমন জানান, ঘটনার সময় বাসা থেকে বের হয়েছেন মাত্র। নন্দ কুমার দত্ত রোডের মুদি দোকানে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই পুরো মাটি কেঁপে ওঠে। শুনতে পান বিস্ফোরণের শব্দ, মানুষের চিৎকার, আর্তনাদ। ইমন বলেন, চেয়ে দেখলাম বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে একটি পিকআপ গাড়ি আগুন নিয়ে প্রায় ৪০ ফিট উপরে উঠে আমার সামনে পড়েছে। এর মধ্যেই ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ হলো। বিস্ফোরণের শব্দ হচ্ছিল আর আগুনের তীব্রতা বাড়ছিল। মনে হচ্ছিল পুরো এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুহূর্তের মধ্যেই শাহী মসজিদ মোড়ের রাস্তায় ও মার্কেট, রেস্টুরেন্টসহ পাঁচটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে যায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই রাস্তায় থাকা গাড়ি চালক, আরোহী ও পথচারীরা পুড়ে মারা যান। পথচারীদের অনেকে প্রাণ বাঁচাতে আব্দুল ওয়াহেদ ম্যানশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। মার্কেটের ভেতরের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তারা। অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ না থাকায় শাটার বন্ধ করে আগুন থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। পুরো আব্দুল ওয়াহেদ ম্যানশনে ছড়িয়ে যায় আগুন।

ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী আজিজুল ইসলাম জানান, ওই মার্কেটের ভেতরের রাস্তা থেকেই ২৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা আগুনের তাপে, গ্যাসে মারা গেছেন। রাস্তায় তখন পড়েছিল অন্তত ১৬ জনের লাশ। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন সেখানে পৌঁছান তখন অনেক নারী ও শিশু ছাদে উঠে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করছিলেন। তাদের উদ্ধার করেছেন তারা। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে জীবিত তবে দগ্ধ, আহত অবস্থায় ৪১ জনকে উদ্ধার করেছেন তারা। রাজ্জাব ভবন, আব্দুল ওয়াহেদ ম্যানশন, রাজমহল ও আনাস রেস্টুরেন্ট, মদিনা ডেকোরেটার্স ও মদিনা ফার্মেসি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সকালে বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার থেকে ঘটনাস্থলে পানি ছিটানো হয়। এ বিষয়ে এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে ৩টা ৪৮ মিনিটে পানি নিয়ে দুটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটানো হয়।

সকালে চুড়িহাট্টার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এ যেন ভস্মীভূত জনপদ। রাস্তায় ময়লার স্তূপের মতো পুড়ে কয়লা হয়ে আছে রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল। পুড়ে বাদামি হয়ে গেছে গাড়িগুলো। রাস্তাজুড়ে কেমিক্যালের বোতল, প্লাস্টিকের পণ্য। দেয়াল ভেঙে ধসে পড়া ক্রংক্রিটের টুকরো। আগুনে কালো হয়ে গেছে ভবনগুলো। ঘটনাস্থলের শাহী মসজিদ ছাড়া প্রায় পাঁচটি ভবনেরই একই অবস্থা। সকাল ১০টা পর্যন্ত এসব ভবনে ধোঁয়া উড়ছিলো। নিভো নিভো করে আগুন জ্বলছিল। তখনই উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট ও আরবান কমিউনিটির সদস্যরা। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এলাকাবাসী জানান, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার কারণ ছিল গ্যাস সিলিন্ডার ও কেমিক্যাল। রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় ছিল সিলিন্ডারের দোকান। এছাড়াও দুটি রেস্টুরেন্টে ছিল ছয়টি সিলিন্ডার। আব্দুল ওয়াহেদ ম্যানশনের নিচতলায় ছিল প্লাস্টিকের স্যান্ডেলের কারখানা। দ্বিতীয় তলায় ছিল গ্যাস, পারফিউম এর মজুত। সেখানে বডি স্প্রে তৈরি করা হতো।

আব্দুল ওয়াহেদ ম্যানশনের উল্টোদিকে মদিনা ফার্মেসিতেও এই আগুন ছড়িয়ে যায়। ওই ফার্মেসি থেকে ৩০ ফিট দুরে আল বাকার ডেইলি ফুডের ব্যবসায়ী ওয়াকিল আহমেদ জানান, আগুনের তাপ তার দোকান পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করছিল। এলাকার আশপাশের নারী-পুরুষ সবাই সারা রাত বাইরে ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে একে একে ৩৭টি ইউনিট। সরু রাস্তা আর তীব্র যানজটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ওই এলাকায় পৌঁছতে বেগ পেতে হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চলছিল উদ্ধার তৎপরতা। রাতভর আগুন নেভানোর তৎপরতা চলে। ভোরে একে একে বেরিয়ে আসে মরদেহ। গতকাল বিকাল পর্যন্ত লাশের ৮১টি অঙ্গপ্রতঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, তবে মাথা পাওয়া গেছে ৬৭টি। যে কারণে আমরা ধরে নিচ্ছি ৬৭টি লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক গুলজার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যে ৬৭টি লাশ উদ্ধার করেছে। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন, এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৬৭টি লাশ পাওয়া গেছে। তবে অনেক লাশই আগুণে বিকৃত হয়ে গেছে। যেসব লাশ দেখে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তা ডিএনএ পরীক্ষায় ম্যাচ করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা জানান, এ পর্যন্ত ৩৭টি লাশ সনাক্ত করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে ২২টি লাশ তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রতিটি লাশ দাফনের জন্য নিহতের স্বজনদের ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্বজনের আহাজারিতে ভারি মর্গের বাতাস: অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের পর ঢাকা মেডিকেলে একে একে নিয়ে আসা হয় আহতদের। ভোর রাতে মর্গে আসতে থাকে একের পর এক লাশ। লাশ সনাক্ত করতে এবং আহত স্বজনদের খুঁজতে সকাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিড় করেন শ শ মানুষ। কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার বাতাস। সন্ধ্যা পর্যন্ত স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন। রাত পর্যন্ত ৩৭ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের কয়েক জনের লাশ রাতেই আজিমপুরে দাফন করা হয়েছে।

তদন্তে দুই কমিটি : পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে শিল্প মন্ত্রণালয় ফায়ার সার্ভিস দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিজুল হককে প্রধান করে বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান শেষে ১২ সদস্যের একটি কমিটি করে মন্ত্রণালয়। যাদের পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তিন সদস্যের সমন্বিত একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা চকবাজারের চুড়িহাট্টায় লাগা আগুনের প্রকৃত কারণ ও সূত্রপাত খুঁজে বের করবেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, তদন্ত কমিটিকে দুর্ঘটনার কারণ ও প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে অগ্নি দুর্ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বিসিকের পরিচালক (প্রকল্প) মো. আব্দুল মান্নানকে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, কল-কারখানা অধিদপ্তর, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং ঢাকা জেলা প্রশাসকের একজন করে প্রতিনিধি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পেইন্টস, ডাইজ অ্যান্ড কেমিক্যাল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব কেমিক্যাল সায়েন্টিস্টের সাধারণ সম্পাদক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ ঘটনাস্থলেই তার বাহিনীর কমিটি গঠনের কথা জানান। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অপারেশন্স) দিলীপ কুমার ঘোষকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের এ কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (এডি) সালাহ উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল হালিমকে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *