রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালসহ অগ্নিকাণ্ডস্থলের আশপাশের হাসপাতালগুলোতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন স্বজনেরা। এদের মধ্যে কেউ তার নিখোঁজ ছেলেকে খুঁজছেন, কেউ ভাই, কেউ ভাবি, কেউ মামা কেউবা আবার বোন ও দুলাভাইকে খুঁজছেন।
ছেলে এনামুল হককে খুঁজেতে ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন আমজাদ হোসেন। ছেলে ইয়াছিন রনিকে খুঁজছেন তার বাবার আব্দুল আজিজ।
তারা দু’জনই জানান, অগ্নিকাণ্ডের পর ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছেন না। রায়হান নামের একজন জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বোন সোনিয়া, দুলাভাই মিঠুসহ ভাগনে শাহিদ সেই পথ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন। তাদের কোনো খোঁজ নেই।
আগুনের সূত্রপাত ঘটা রাজ্জাক ভবনের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে ছিলেন ৬ জন। এদের মধ্যে ৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেলেও সিয়াম ও রোহান নামের দু’জনের খোঁজ পাচ্ছেন না তার স্বজনেরা। নিখোঁজ একজনের বাবা মোহাম্মদ হোসেন ঢামেকের সামনে ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন। আর ভাই মাহিরকে খুঁজতে ঢাকা মেডিকেল চষে বেড়াচ্ছেন বোন নূর এ আনহা।
নিখোঁজ জহির উদ্দিনের খোঁজে ঢামেক হাসপাতালে একদিন থেকে আরেকদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভাগ্নে রিফাত নেওয়াজ। জানান, মামার দোতলা বাড়িটি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মুঠোফোনে ফোন দিলে বাজলেও কেউ ধরছে না।
মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের পর ভাবির খোঁজে হাসপাতালে ছুঁটে বেড়াচ্ছেন গিয়াস উদ্দিন। চুরিহাট্টার ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে একটি বহুতল ভবনে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আহত ও দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।