ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামে বুধবার সকালে মাদক ও চোরাকারবারীকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের গুরুতর অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের খাদলা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সৌদি আবর প্রবাসী মনির হোসেন (৪৩), তার ছোট ভাই আবু হানিফ (৩৫), একই গ্রামের জামাল চৌধুরী (৪৫), বাদশা মিয়া (৪৮) ও তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪০)।
জানা গেছে, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম খাদলা। ওই গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গাঁজা, ইয়াবা, চোরাই মটর সাইকেল ও গরু আনা-নেয়া করে একটি চক্র। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাদলা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মনির হোসেন ও বাহার মিয়ার লোকজনদের মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মনির হোসেন বলেন, তিনি সৌদি আরবে চাকরি করেন। ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। বাদশা মিয়ার ভাই বাহার মিয়া চোরাকারবারির লাইনম্যান এবং ভারতীয় গাঁজা, ইয়াবা, মটর সাইকেল ও গরুর ব্যবসা করে। তার বাড়ির সামনে দিয়ে এ সকল অবৈধ ব্যবসায় তিনি বাধা দেন।
এতে করে বাহার মিয়া ও তার লোকজন তাদের দুইভাইসহ আরো একজনকে পিটিয়ে মারধোর করেছেন।
কসবা থানার ওসি মো. আবদুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোন পক্ষই জানাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।