ঢাকা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ইরি-বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। এদিকে বাম্পার ফলন ও ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।চলতি বছর বীজ সংকট এবং বিদ্যুৎ ও তেলের সমস্যা না থাকাসহ আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়। এর মধ্যে বোরো উফশি পারিজা ১০ হাজার ৯৬০ হেক্টর, ব্রি-৩৬ ১ হাজার ৫১০ হেক্টর, ব্রি-২৯ ৬০০ হেক্টর, ব্রি-২৮ ৪৩০ হেক্টর, ব্রি-৪৮ ২২০ হেক্টর, জিরাসাইল ৩১০ হেক্টর ও হাইব্রিড রাইচার ১০ হেক্টর, টিয়া ১০ হেক্টর এসএল-৮ এইচ ১৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে।
পার্বতীপুরের কৃষক সেবলু জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় জমিতে ভাল ফলন হয়েছে। তিনি এ পর্যন্ত ৫ বিঘায় ১০৮ মন ধান পেয়েছেন।রোকনপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, ধানের দানা ভালো হওয়ায় উৎপাদন ভাল হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও তেল সংকট না থাকার কারণে কৃষকরা স্বস্তিতে চাষাবাদ করেছেন।
রাধানগরের কৃষক বাইরুল জানান, চাষাবাদের শুরুতে ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা কিছুটা খারাপ হলেও কৃষকরা সময়মত জমিতে বীজ বপন করেছিল। তবে এ বছর তারসহ সবার চাহিদার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হচ্ছে।এদিকে ধানের দাম থাকায় কৃষকের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। প্রতিমণ ধান ৭০০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তৌহিদুর ইসলাম জানান, চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় ১৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমির বিপরীতে ১ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে ধান কাটা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়াসহ সার্বিক দিক দিয়ে এ বছর ধানের ফলন ভাল হয়েছে। বিঘাপ্রতি ২২ মন করে ফলন হচ্ছে।