কোন অপরাধ সংঘটনের পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ ঠেকাতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি আরো জোরদার করা জরুরী হয়ে গেছে। কারণ সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর অভিযোগ উঠায় এই দাবী জোরালো হচ্ছে।
গণমাধ্যমে খবর এসেছে, কতপিয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও গণধর্ষনের অভিযোগ হয়েছে। ৪জন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে আইনী হেফাজতেও নেয়া হয়েছে। যে পুলিশ অপহরণকারী ও ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করবে, সেই পুলিশ নিজেরাই ওই সকল অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটা উদ্বেগজনক খবর বটে।
এ ছাড়া পুলিশ কোন অভিযোগে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করার পর কোমড়ে রশি বেঁধে ছবি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করছে। এটাও আইন সিদ্ধ নয়। ২০১২ সালে একজন বিচারক ফেনসিডিল সহ আটকের পর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলো যে গ্রেফতার বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের পর কোন ব্যক্তিকে যেন গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করা হয় কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটি মানা হচ্ছেনা।
সম্প্রতি পুলিশ অরাজনৈতিক বিষয়ে কোন মামলা মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আইনী নিয়ম-কানুন তেমনভাবেও অনুসরণ করছেন না। তদন্ত ছাড়া মামলা রেকর্ড, মামলা রেকর্ডের ক্ষেত্রে যথাযথ আইন অনুসরণ না করার অভিযোগও আছে। এতে মনে হয়, পুলিশকে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হতে হবে একই সাথে তদন্ত তদারকিও আরো জোরদার করতে হবে।
অন্যথায় নিয়মিত অপরাধ সংঘটনের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও আভ্যন্তরীণ অপরাধ বেড়ে যাবে। ভেতর-বাহিরের অপরাধ সংঘটন যদি প্রতিযোগিতা শুরু করে তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতপিয় সদস্যের কারণে পুরো বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে যা ন্যায় বিচার ও রাষ্ট্রের জন্য অধিক ক্ষতির কারণ।
সাধারণ মানুষ মনে করে, অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও দমনের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি আইনী ব্যবস্থাগ্রহনকারী ও অভিযান পরিচালনাকারীদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তদারকির কাজটি আরো জোড়ালোভাবে করা উচিত।