বগুড়ার পলীতে ‘বালু দস্যুদের’ হামলায় রিকশা চালক মোখলেসুর রহমান (৬৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় নিহত ব্যক্তির ছেলে খোকন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এতে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া ও স্থানীরা জানান, সম্প্রতি শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তেলিহারা উত্তরপাড়া গ্রামে করতোয়া নদীতে একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়।
পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ঠিকাদার এমদাদুল সরকার সেতু নির্মাণের জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বালু ট্রাকে তুলে অন্যত্র বিক্রি শুরু করেন। অবাধে ট্রাক চলাচল করায় গ্রামের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তখন তেলিহারা উত্তরপাড়ার মৃত লাল শাহের ছেলে মোখলেসুর রহমান ও অনেকে বিরোধিতা করেন। এক পর্যায়ে তারা ট্রাক চলাচল বন্ধের জন্য রাস্তার মধ্যে বাঁশের খুঁটি পুঁতে রাখেন। এতে ইউপি সদস্য ও ঠিকাদার এমদাদুল সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় খুঁটি দেবার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে এমদাদুল তার লোকজন নিয়ে তেলিহারা উত্তরপাড়া গ্রামে খুটি তুলতে যান। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলে এমদাদুলের লোকজনের মারপিট শুরু করেন। এতে ৩/৪ জন আহত হন।
স্বজনরা তাদের শহরতলির ঠেঙ্গামারা এলাকায় রফাতউলাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল ৯টার দিকে মোখলেসুর রহমান সহ স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তিদের চিকিৎসার খরচ দিতে যাচ্ছিলেন। তারা এমদাদুলের বাড়ির কাছে পৌঁছলে তাদের উপর আবারো হামলা চালানো হয়। রড ও লাঠির আঘাতে মোখলেসুরসহ ৫-৬ জন আহত হন। এদের একই হাসপাতালে ভর্তি করলে বেলা ১১টার দিকে মোখলেসুর মারা যান।
শুক্রবার দুপুরে ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, নিহতের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তন করা হয়। নিহতের স্বজনরা লাশ দাফন শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে থানায় মামলা করেছে। মামলায় ঐ ইউপি সদস্য এমদাদুল সহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন আসামি রয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।