মাসুদ পারভেজ কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কিশোর-কিশোরীর অবুঝ প্রেম। অবশেষে হাত ধরে পালিয়ে যাবার পর উভয় পরিবারের মাথা ব্যাথার কারন এবং বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে গ্রাম্য মাতাব্বরদের ব্যর্থ চেষ্টা। বিয়ের পিড়িতে পা রাখার আগেই খবর পেয়ে গভীর রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর দিগধা গ্রামে। আইন অমান্য করে গ্রাম্য মাতাব্বরদের দৌরাত্ব দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর দিগধা গ্রামের মবুর পুত্র চলতি এসএসসি পরিক্ষার্থী মাহফুজ (১৬) এবং পাশর্^বর্তী মৈশন ঘোড়াসাল পাড়ার আনোয়ারের অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যা লামিয়া’র (১৩) মাঝে বেশ কিছুদিন যাবত প্রেমের সর্ম্পক চলছিল। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও কানাঘুসা হলেও অভিভাবকরা তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। ফলে গত সোমবার সকালে স্কুলে যাবার কথা বলে উভয়ে পালিয়ে যায়। মেয়েকে খুজে না পেয়ে আনোয়ার কাপাসিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কফিল উদ্দিনের মধ্যস্থতায় তার বাড়িতে মেয়েকে গোপনে রেখে ছেলে মাহফুজের মামা জাল মাহমুদ, চাচা তৈয়ব ও তাজ উদ্দিন বাল্য বিয়ের সকল প্রস্তুতি নিতে থাকে। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের সমঝোতায় ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। পরে খবর পেয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ ইসমত আরা থানার পুলিশ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের নিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঘটনা স্থলে ছুটে যান। কিন্ত বিয়েবাড়ি পৌঁছানোর আগেই কে বা কারা ফোন করে ইউএনও আসার খবর প্রচার করে দেয়। ফলে ওই বাড়ির লোকজন ছেলে-মেয়েকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন সত্যতা স্বীকার করেন এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে অঙ্গিকার করেন।