রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও অন্য সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে সফররত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছেন হলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তবে তিনি এসেছেন মূলত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হয়ে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে। মঙ্গলবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি প্রেস বিফ্রিংয়ে আসেন।
গণমাধ্যমকে বলিউড অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, যারা নির্যাতিত হয়েছে মিয়ানমারে তাদের সাথে তার কথা হয়েছে। নির্যাতিতরা বলেছেন যে, হয় আমাদের বাংলাদেশে রাখেন, নাহলে গুলি করেন। কিন্তু রাখাইনে ফেরত দিয়েন না।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, সবার দায়িত্ব হলো রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের যেন ফেরত না পাঠানো হয়।
বাংলাদেশে এখন প্রায় এগারো লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে রীতিমত ঢল নেমেছিলো রোহিঙ্গাদের।
এতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও অন্য সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি বলেন, “তবে সংখ্যাটা এতো বড় যে বাংলাদেশ সামলাতে পারবে না, সে কারণেই সবার সহযোগিতা দরকার”।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, রোহিঙ্গার জাতি হিসেবে বাংলাদেশে এসেই প্রথমবারের মতো নিবন্ধিত হলো।
এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত তারা যাতে নিজ দেশে নাগরিকত্ব পেয়ে মর্যাদার সাথে বসবাস করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা।