হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেট খেলা নিয়ে লালমনিরহাটে শুরু হয়েছে জমজমাট জুয়ার আসর।
পৌর শহর থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে এই জুয়া। খেলার শুরু থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেকটা গোপনে বাজি ধরছেন জুয়াড়িরা।
বাজি ধরে সর্বস্বান্ত হচ্ছে অনেকেই। বাজিকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাট সংঘর্ষের ঘটনা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্র বাজিকররা খেলা শুরুর পর থেকে গোপনে নিজেদের মধ্যে বাজি ধরছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর চা-স্টলগুলোতে এসব বাজিকরদের ভিড় দেখলেই বোঝা যায় বিষয়টি।
পাশে বসে থাকলেও বোঝার উপায় নেই সেখানে হাতবদল হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অনেকে লাভের আশায় বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে বাজি ধরছেন।
যখন নিঃস্ব হচ্ছেন তখন পুঁজি সংগ্রহে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
আরও জানা গেছে, বিভিন্ন সাংকেতিক ভাষায় চলছে বিপিএল জুয়া। প্রতি ২০ ওভারের ম্যাচে প্রতি ওভারে রানের ওপর, কোন খেলোয়াড় বেশি রান করবে, কোন বোলার বেশি উইকেট পাবে, কোন ব্যাটসম্যান বেশি ছক্কা মারবে, কে বেশি চার মারবে, কোন বলে চার বা ছয় হবে এবং কোন দল জিতবে এসবের ওপর ধরা হচ্ছে বাজি। আর এই খেলার সঙ্গে চিকিৎসক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জড়িয়ে পড়ছেন।
হার-জিতের টাকার লেদদেন হচ্ছে নগদে অথবা মোবাইলের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমেও বাজি ধরা হচ্ছে। এভাবে ক্রিকেট জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সবাই।
এতে আগের চেয়ে লালমনিরহাটে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেড়ে গেছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
অবিলম্বে এই জুয়া বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন লালমনিরহাট বাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই বাজিকর জানান, বিপিএল বা আইপিএল খেলা শুরু হলে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয়।
মাঝে মধ্যে লোকসানও গুনতে হয়। তবে সবচেয়ে লাভ হয় আইপিএল খেলায়। সেখানে বাজি ধরার রেট অনেক বেশি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। তবে এমন হয়ে থাকলে অভিযান পরিচালনা করে জুয়াড়িদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।