বগুড়ার শেরপুরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে হামলা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারপিট ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত সোমবার ২৮ জানুয়ারি রাতে হামলার শিকার ওই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কেএম ওবায়দুল হক বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ২৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পরপরই মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান নামে।
এসময় দুই বিএনপির কর্মীকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁরা হলেন- উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. শাহাদত হোসেন (৩৪) ও একই গ্রামের করমত আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৪৫)।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ৩০ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা কেন্দ্র দখলে নিতে হামলা চালায়। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কেএম ওবায়দুল হক বাধা প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সশস্ত্র বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ওই কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করেন। একপর্যায়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় দেড় থেকে দুই ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ভোটগ্রহণ করা হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও ভোটকেন্দ্রে হামলা এবং প্রিজাইডিং অফিসারকে মারপিটসহ হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।