শুরুটা ভালো করলেও শেষটা মোটেই সুখকর হলো না চিটাগংয়ের। ক্ষণে ক্ষণে পাল্লা বদল হওয়া ম্যাচে একটা সময় মনে হচ্ছিল, বিপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়েই হয়তো জিতবে চিটাগং ভাইকিংস।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করে তারা। ফলটা দাঁড়ায় ৭ রানের পরাজয়।
শেষ তিন ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭ রান। ১৮ তম ওভারে মোস্তাফিজ মাত্র ৭ রান দেন। ১২ বলে ২১- সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে যায় রাজা- নাজিবুল্লাহ জাদরানদের জন্য। পরের ওভারে জাদরান আউট হয়ে যান। শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ দাঁড়ায়। কাটার মাস্টারের এক ওভার তখনো বাকি। এই সময়ে তার থেকে ভালো অপশন যে আর হতে পারে না সেটারই প্রমাণ দিলেন মোস্তাফিজ। শেষ ওভারে দিলেন মাত্র ৫ রান। তুলে নিলেন ২ উইকেট।
আর দলকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। শুরুটা ভালোই হলো কিংসদের। দলীয় ৫০ রানে ওপেনার সৌম্য সরকার ফিরে গেলেও ল্যারি ইভান্সকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যান আরেক ওপেনার জনসন চার্লস। দলীয় ১২০ রানের সময় ইভান্স ফিরে যাওয়ার পর অর্ধশতক হাঁকিয়ে আবু জায়েদের শিকারে পরিণত হন চার্লস। ২৭ রানে ডেসকাট রানআউট হলে ঝড় তোলেন ক্রিস্টিয়ান জনকার। রাজশাহী করে ১৯৮ রানের বড় স্কোর।
এ জয়ে সুপার ফোরের স্বপ্ন ভালোভাবেই জিইয়ে রাখলো রাজশাহী। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১০। সমান পয়েন্ট ঢাকা ডায়নামাইটস, রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও।