শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট ব্যবসা ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার প্রশিক্ষা মোড় এলাকায় এসিআই প্রিমিয়াফ্লেক্স প্যাকেজিং কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
কারখানার সহকারি ব্যবস্থাপক (হিসাব বিভাগ) মো.ফয়সাল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে স্থানীয় চার জনের সাথে একটি চুক্তি হয় কারখানা কর্তৃপক্ষের। সে চুক্তি অনুযায়ী উপজেলার মাওনা এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম খন্দকার, ইমরান হোসেন ডন, জাহিদুল ইসলাম ও ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম খন্দকার কারখানা থেকে ঝুট কেনার কথা। চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা চলছিল, কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই চারজনের একজন জাহিদ কারখানায় প্রবেশ করে ঝুট ব্যবসা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার কথা বলেন। এসময় কারখানায় থাকা বাকি তিনের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে কারখানার মূল ফটকের বাইরে গিয়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এরপর কারখানার বাইরে থেকে উচ্চ শব্দ শোনা যায়। শব্দে আতঙ্কিত কারখানার কর্মীরা এলোমেলো ছোটাছুটি করতে থাকে। তবে কর্তৃপক্ষ শব্দটি গুলির কিনা তা জানাতে পারেননি।
কারখানার আশপাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে হঠাৎ আলাদা আলাদা চারটি বিকট শব্দ হয়। এসময় আতঙ্কিত লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে। শব্দ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৫-২০ জন যুবক কারখানার ভেতর থেকে বের হয়ে যেতে দেখেছেন তারা।
গাজীপুর সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন, কারখানায় আমরা চারজন সমান হারে ঝুট ব্যবসার চুক্তি করি। সেখানে আমাকে বাদ দিয়ে কারখানা থেকে ঝুট কিনতে গিয়েছিল ওরা (কালাম)। এসময় তাদের কাছে এর কারণ জানতে গেলে আমার লোকজনদের ধাওয়া করে।
ভিন্ন কথা বলছেন আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম খন্দকার। তিনি বলেন, আমরা চারজন সমান হারে ব্যবসা করতেছিলাম। পরবর্তী সময়ে জাহিদ স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কারখানায় একক আধিপত্য তৈরি করতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে কারখানায় প্রবেশ করেন শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালামের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক সদস্য কারখানার সামনে আসেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পেরেছি এখানে ঝুট ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে ছিল। কয়েকটি শব্দ হয়ে ছিল এগুলো গুলির শব্দ কি না আমরা এখনো জানি না এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।