বরিশালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সাথে খাদ্য বিভাগের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
রেশন দিতে বিলম্ব হওয়ায় আজ সোমবার বিকেল ৩টায় নগরীর বান্দ রোডে সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়।
সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসের ন্যায় দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রেশন নিতে আসে।
কিন্তু ওই সময় শ্রমিকরা ত্রিশ গোডাউন কাজে যায়। তাদের একটু অপেক্ষা করতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-খাদ্য পরিদর্শক হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা তপন, নিরাপত্তা প্রহরী রেজাউল করিম ও রেজাউল করিম-২ কে বেদম মারধর করে। এ সময় তারা সদর উপজেলা খাদ্য পরিদর্শকের কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং ফাইলপত্র নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলাউদ্দিন জানান, প্রতি মাসে তারা সদর উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে রেশন উত্তোলন করেন। গত মাসে তাদের রেশন কম দেওয়া হয়। পরিমাপে কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আর রেশন দেবে না এবং দিলেও তাদের ভোগান্তিতে ফেলার কথা হুমকি দেয়।
এই ধারাবাহিকতায় ফায়ার সার্ভিসের ৩ জন কর্মী সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে রেশন আনতে গেলে খাদ্য বিভাগের কর্মচারীরা টালবাহানা শুরু করে। তারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখে।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খাদ্য বিভাগের এক জন কর্মকর্তা তাকে (মো. আলাউদ্দিন) চেয়ার দিয়ে আঘাত করে।
এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য সদস্যরা সদর খাদ্য অফিসে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদসহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাউকে মারধর কিংবা ভাঙচুর করেনি বলে দাবি সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলাউদ্দিনের।