প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ এর লক্ষ্য অর্জনে অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে তথ্য-উপাত্ত নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রাধিকারভিত্তিক সম্পদের বরাদ্দ। একটি কার্যকর, তথ্যনির্ভর, বহুল ব্যবহৃত, সমন্বিত এসডিজি পরিবীক্ষণ কাঠামো টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করতে পারে।
এটুআই এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বুধবার বিবিএস ভবনের অডিটোরিয়ামে এসডিজি ট্র্যাকার বিষয়ক পরামর্শ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এসডিজি অর্জনে সরকারের অবস্থান ও অগ্রগতি পরিমাপ এবং উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে তথ্য-উপাত্তের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে এটুআই কর্তৃক নির্মিত হয় এসডিজি ট্র্যাকার। এসডিজি ট্র্যাকারকে আরও কার্যকরী, আরও ভিজুয়ালাইজড স্কিম, সকলের ব্যবহার বান্ধব ও চাহিদা মোতাবেক করতে হবে। ডাটা হালনাগাদ ও ডাটার গুণগত মান বজায় রাখতে হবে।
সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সঠিক ও হালনাগাদ পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা আমাদের ভিশন ডকুমেন্টগুলো এমনভাবে তৈরি করছি, যাতে এসডিজি অর্জন সহজ হয়। সকলকে একত্রে কাজ করার অনুরোধ করছি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।
কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. কৃষ্ণা গায়েন। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালার মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপনা করেন এটুআই-এর হেড অব রেজাল্টস ম্যানেজমেন্ট ড. রমিজ উদ্দিন এবং বিবিএস-এর উপপরিচালক আলমগীর হোসেন।