মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়েছে।
বুধবার বিকেলে ৪টার পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের (আইইবি) সামনে থেকে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে এই বিশাল র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে র্যালি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিজয় মিছিলে উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত সকল থানা শাখা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আইইবির সামনে জমায়েত হন। দুপুর ২টার পর থেকে নেতাকর্মীরা দলে দলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে র্যালিতে আসতে শুরু করেন। নেতাকর্মীরা বাদ্য-বাজনা, ঘোড়ার গাড়ি, হাতি নিয়ে মিছিলে এসে যোগ দেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিজয় আনন্দের জোরালো ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে জমায়েতস্থল। এ সময় সার্ক ফোয়ারা থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। আর শাহবাগ হয়ে গুলিস্তান, মতিঝিল, সদরঘাটগামী বাসগুলো একমুখী চলাচল শুরু করে।
নেতাকর্মীরা বিভিন্ন আকারের লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। কিছু কিছু ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ডে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি শোভা পায়। এসবের মধ্যে মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির রায় কার্যকরসহ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিনের কর্মসূচি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।