ঢাকা:বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারাদেশে বিরোধী দল, মত ও বিশ্বাসের মানুষরা সরকারি সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বরের আগের দিন অন্ধকার রাতে ভোট ডাকাতি ও ভোট হরিলুট সরকারের জন্য শুভবার্তা নয়। বরং এই অপকর্মটির জন্য অচিরেই বিশাল রাজনৈতিক ধাক্কা খেতে হবে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারকে। জোর করে ক্ষমতায় থাকাটা এই ম্যান্ডেটহীন সরকারের জন্য হবে বিবিধ অমঙ্গলের উৎস।
আজ শনিবার সকাল সোয়া ১১ টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার তথাকথিত হিংসা ও মহাজালিয়াতির নির্বাচনের বিনিময়ে দেশের মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছে। এখন সরকার দমননীতির উত্থান প্রবল থেকে প্রবলতর করছে। সারাদেশে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নেতাকর্মীদেরকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাদের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বুএন, বিএনপি নেতার ছেলে বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া শেষে দেশে ফিরে এসে নিজ এলাকায় সমাজ সেবা করতে গেলেও তার ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো ডিজাইনে ভোট লোপাটের মহা ধুমধাম এখন চলছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে। মহাভোজ উৎসবের মহাসমারোহ চলছে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে থানার পুলিশ স্টেশনগুলোতে। এভাবে অন্যান্য বাহিনীর ইউনিটেও চলছে ভোজের মহাউৎসব।
তিনি বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর গণতন্ত্রের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বর্তমানে বাংলাদেশ পূর্ণ গণতন্ত্র বা ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের অবস্থানেও নেই।
তিনি বলেন, ইআইইউ রিপোর্ট প্রকাশের পর সরকারের কিছু আজ্ঞাবাহী বুদ্ধিজীবী অবান্তর কথাবার্তা বলছেন। তারা বলেছেন গণতান্ত্রিক ধাপে বাংলাদেশ এগিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অবস্থান তলানিরও নীচে অতলে নিমজ্জিত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।