ঢাকা: একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী গণফেরামের দুই প্রার্থী শপথ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ড. কামাল হোসেনের উদ্বৃতি যে সংবাদ পরিবেশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আজ বেলা পৌনে ১২ টায় রাজধানীর মতিঝিল ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে নেতৃববৃন্দ এ কথা জানান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করতে জরুরিএ বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঐক্যফ্রন্টের ৭ প্রার্থীর কেউ-ই শপথ গ্রহণ করছেন না।
বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলেই চলে যান। তবে কথা বলেছেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণফোরামের সাধারন সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু।
আ স ম আবদুর রব বলেন, ঐক্যফ্রন্টের কেউ এই সংসদে শপথ নিতে যাচ্ছে না, যাবে না।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার যে খবর বেরিয়েছে সেটি সঠিক নয়। আমাদের ঐক্য ছিলো, এখনো আছে এবং থাকবে। আমরা একসঙ্গে মিটিং করছি, আগামীতেও একসঙ্গেই থাকবো।
মোস্তফা মহসীন মিন্টু বলেন, গতকাল ড. কামাল হোসেন কোনোভাবেই বলেন নাই যে, গণফোরামের নির্বাচিতর ২ জন প্রার্থী শপথ নেবেন। তিনি বলেছেন, আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তারমানে শপথ নিচ্ছে- এটা নয়। গণমাধ্যমে শপথ নেয়ার খবরটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আশা করি এই প্রশ্নে আর কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।
মন্টু বলেন, আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনৈক্য নেই। বরং গত ৩ শে ডিসেম্বর প্রহসনের পর জনগণের ভোটের অধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগের চাইতে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা বলে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচন নামের প্রহসনটি ঐক্যফ্রন্ট সেদিনই প্রত্যাখান করেছে। এই প্রহসনটি আরো দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করেছে এই দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।