নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় মূল নির্দেশনাদাতা ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল।
তারা হলেন- সুবর্ণচর ইউপি সদস্য রুহুল আমিন (৩৩) ও বেছু (২৮)। তাদের বাড়ি একই এলাকায়।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার চরওয়াফদা ইউনিয়ের ৪নং ওয়ার্ড ও সেনবাগের ইটভাটা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ তাদেরকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও মামলা হওয়ার পর সোমবার একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাতে একজনকে এবং বুধবার দুপুরে কুমিল্লা থেকে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করলে সোমবার লক্ষ্মীপুর থেকে আবদুল মন্নানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ কর্মী স্বপন (৩০) এবং মঙ্গলবার রাতে চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আহাম্মদ উল্লাহর ছেলে বাদশা আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর বুধবার দুপুরে মামলার প্রধান আসামি একই গ্রামের ইসমাইলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সোহেলকে (৩৫)
কুমিল্লা জেলার অজ্ঞাত স্থান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে সিএনজি চালকের স্ত্রী (৪০) গণধর্ষণের শিকার হন।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গৃহবধূর স্বামী, ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে। ঘটনার পরপরই গোপনে গৃহবধূ ও আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।