নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার একটি ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করার পর এ নিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি টিম নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যায় এবং তারা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এ সময় আইন ও সালিস কেন্দ্রের তিন সদস্যের অন্য একটি তদন্ত দল হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে মদ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে(৩৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। সে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। এর আগের দিন সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাংচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা ওই নারীরর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।