হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাং এলাকায় ট্রাক ও ট্রাক্টরের চাপায় চান্দের গাড়ি (সেভেন সিটার) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা মা-মেয়েসহ ৭ যাত্রী নিহত ও ১৪ যাত্রী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মকসুদ মিয়া (৬০), বানিয়াচং উপজেলার রহমতপুর এলাকার হারিছের স্ত্রী নওবন বিবি (৪০), মেয়ে আম্বিয়া খাতুন (২০), মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাজীরগাঁও গ্রামের মজিবুর রহমান (৫৫) ও আমির হোসেনের ছেলে মামুন (৩০). একই উপজেলার পাহাড় বর্শিজোড়া এলাকার আহমদুল হক (৬০), শ্রীমঙ্গল উপজেলার মৃত্তিকা চা বাগান এলাকার ইউসুফ আলী (৫০)।
আহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুদিয়াখলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জয়নাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার দাউদনগর এলাকার মর্তুজ আলীর ছেলে আরশাদ আলী (৩০) ও অজ্ঞাতপরিচয় (৫৫) এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া মাহতাব (৩৫), জালাল (২৯), জমির আলী (৬০), জাহাঙ্গীর (২৫), কমলা (৪০), আলী নুর (২৫), সাইদুর (২৫), শান্ত কুমার (২০), মাসুদ রানা (৩০), হাবিবুর রহমান (৫০), কামাল মিয়াকে (৩৫) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের ফতেহপুর (শাহজিবাজার) এলাকায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে শাহ সোলেমান ফতেহগাজী (র.) এর তিনদিনব্যাপী বার্ষিক ওরস চলছে।
মঙ্গলবার সকালে ওরস থেকে একটি চান্দের গাড়ি ও একটি অটোরিকশায় করে অন্তত ২০ যাত্রী নিজ নিজ বাড়ি ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাং এলাকায় ব্রিজের কাছে ঢাকাগামী একটি ট্রাক ও বালুবোঝাই একটি ট্রাক্টর বিপরীত দিক থেকে আসা চান্দের গাড়ি ও অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই চান্দের গাড়ি ও অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে যাত্রী মকসুদ মিয়া (৬০) ও মজিবুর রহমান (৫৫) নিহত হন।
খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ এবং হবিগঞ্জ দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ছাড়াও তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
পরে আহতদের মধ্যে নওবন বিবি (৪০), তার মেয়ে আম্বিয়া খাতুন (২০), আহমদুল হক (৬০) ও ইউসুফ আলী (৫০) হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক আশংকাজনক অবস্থায় আহত মামুনকে (৩০) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার) করলে সিলেটে নেওয়ার পথে নবীগঞ্জ এলাকায় তার মৃত্যু হয়।