গাজীপুর: গাজীপুরে ভোটের দিন যুবলীগ কর্মী মো. লিয়াকত হোসেন (৪৫) হত্যার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বড়ভাই মো. আইয়ুব রানা বাদি হয়ে সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানায় মামলা করেন। এতে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অচেনা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গাজীপুর শহরের আবদুল হাই মেম্বারের ছেলে এবং কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক ভিপি। গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদের বড় ভাই লিয়াকতকে রোববার ভোটের দিন কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আহত হন মো. আশরাফ, খায়রুল ইসলাম ও গণি মিয়া।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এজাহারভুক্ত আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মো. হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৪৮), মো. ফাহিম রেজা (২১), মো. সাব্বির (২৪), সাগর চৌধুরী (১৮), মো. রাসেল (১৮), মো. মোর্শেদুল কবীর শিপন ((৪২), মো. মশিউর রহমান জুয়েল (৩৮) ও আহম্মেদ হোসেন (১৮)।
তাদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, আসামীরা পূর্ব হতেই তার ভাইয়ের সঙ্গে শক্রতা করে আসছিল। নির্বাচন উপলক্ষে তার ভাই নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে গেলে আসামীরা তাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
এজাহারে বলা হয়, “আসামী হাফিজুর রহমান হাফিজ অন্য আসামিদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। তিনি নির্বাচনের আগের দিন হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে লিয়াকতকে হত্যার পরিকল্পনা করেন” বলেও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।