হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া লালমনিরহাট জেলার ৩টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোট চলাকালীন সময় সকাল সাড়ে ১১টায় পর গোলোযোগ দেখা দেওয়ায় লালমনিরহাট শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট সাময়িক স্থগিত করা হয়।
এদিকে সকাল ১০টার পর সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী তোফাজ্জল হোসেন (৬৫) মাটিতে পড়ে যায় এবং পদদলিত হয়ে মারাত্মক আহত হয়।
তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
প্রিজাইডিং অফিসার ও অন্যান কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তার দায়িক্তে নিয়োজিত পুলিশ, আনসার, ভিডিপির সদস্যরা নিজ নিজ কেন্দ্র ভোটের যাবতীয় দ্রব্যাদিসহ পৌচ্ছে গেছেন।
জেলার ৩টি সংসদীয় আসনে মহাজোট, আওয়ামী লীগ, ঐক্যফ্রন্ট ও অনান্য দলের ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।
জেলার ৩টি আসনে ৩ শত ৬২টি কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ১৬ হাজার ৬শ ৯৫ জন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত তথ্যে লালমনিরহাট- ১ আসনে (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোতাহার হোসেন (নৌকা) ২ লাখ ৬৪ হাজার ১১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্টের ব্যারিস্টার হাসান রাজিব (ধানের শীষ) পেয়েছেন ১১ হাজার ০৩ ভোট।
এই আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী (লাঙ্গল) মেজর খালেদ পেয়েছেন ১ হাজার ২০৯ ভোট।
লালমনিরহাট- ২ আসনে (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) মহাজোট প্রার্থী নুরুজ্জামান আহম্মেদ (নৌকা) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী রোকন উদ্দিন বাবুল (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৫৩৩ ভোট।
লালমনিরহাট- ৩ আসনে (সদর উপজেলা) মহাজোট প্রার্থী জিএম কাদের ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু পেয়েছেন ৭৯ হাজার ১১৯ ভোট।